ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বছরে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি বীজ রফতানি করছে লালতীর

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

বছরে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি বীজ রফতানি করছে লালতীর

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ ‘ভাল বীজ ভাল ফসলের পূর্ব শর্ত‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকাস্থ লাল তীর বীজ উৎপাদন কারখানা ও গবেষণা কেন্দ্রে শনিবার কৃষি ও কৃষকের জন্য উদ্বোধন করা হলো ‘লালতীর দিবস’। প্রতিবছর ১২ টন লাল তীর উৎপাদিত সবজি বীজ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। যার মূল্য হলো পাঁচ কোটি টাকারও বেশি। দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠানের আর এ্যান্ড ডি খামারে ৬ দিনব্যাপী (১৯-২৪ জানুয়ারি) ‘লালতীর দিবস’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা ওইসব তথ্য দেন। লালতীর সিড লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ নাসিম আকবর বলেন, সবজি, ভুট্টা, ধান, গম, পাট, তুলা, তৈলবীজ এবং ডাল জাতীয় ফসল লালতীরের মূল উৎপাদিত পণ্য। লালতীরের হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল সবজি বীজ বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবছর ওমান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, উগান্ডা, ফিলিপাইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে এশিয়া মহাদেশের এসব দেশে ১২ টন সবজি বীজ রফতানি হয়েছে, যার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ২০১৬ সালেও ওইসব দেশে সাড়ে তিন কোটি টাকার টন বীজ রফতানি হয়েছে। তবে এশিয়া মহাদেশ ছাড়াও আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যেও এখানকার বীজ রফতানি হচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে ২৫০/৩০০ টন সবজি বীজ উৎপাদন হচ্ছে। লালতীর ১০০টি উফশী এবং ৭৫টি হাইব্রিড জাতের সবজি উদ্ভাবন করেছে। লালতীর লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু জানান, ১৯৯৬ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট সিড (বাংলাদেশ) লি. নামে লালতীরের যাত্রা শুরু হলেও ২০০০ সালে এ প্রতিষ্ঠান থেকে উৎপাদিত বীজ বাজারজাত হচ্ছে। এরপর থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি আর পিছু হটেনি। দেশের পুষ্টি ও খাদ্যাভাব পূরণ করতে ব্যক্তি উদ্যোগে এ ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান স্থাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তাজওয়ার এম আউয়াল, ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনাম তোবদেন রাবগায়ি, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সালমান খান, নেদারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরন স্টিগথ্, ওমানের হেড অব মিশন তায়েব সেলিম আলালি, সিরডাপের মহাপরিচালক তাকিতা জি. বোসেইকা তাজিনা ভুলাও এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কৃষিবিদসহ উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা প্রতিষ্ঠানের কারখানা ও বিভিন্ন কার্যক্রমসহ গবেষণা প্লটসমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় দেশী ও বিদেশী পর্যবেক্ষকদের কাছে লালতীর বীজের প্রযুক্তি ও গুণাগুণ তুলে ধরা হয়। পরিচালক তাজওয়ার এম আউয়াল বলেন, নকল প্রতিরোধে লালতীরের প্যাকেটের রং পাল্টানো হচ্ছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ লালতীর দিবস পালিত হবে। লালতীর কৃষক, বিক্রেতা ও পরিবেশকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য অ্যাপস, এসএমএস এবং ফোন কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে।
×