ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খুলনায় একই ঘর থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

খুলনায় একই ঘর থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ একই ঘর থেকে ব্যবসায়ী ও তার কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত দশটার দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন ট্রাক টার্মিনাল এলাকার একটি বাসা থেকে একজনের ঝুলন্ত এবং অন্যজনের লাশ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার লেদ মেশিনের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন (৫৫) ও কর্মচারী মেহেদী (১৮)। পুলিশের ধারণা, দু’জনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আক্তার হোসেনকে ঘরের আঁড়ায় ঝুলিয়ে রাখে এবং মেহেদীকে খাটের ওপর ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতকারীরা। জোড়া খুনের এ ঘটনায় রহস্য শনিবার বিকেল পর্যন্ত উন্মোচন করা যায়নি। এ ঘটনায় কোন মামলাও হয়নি, কেউ গ্রেফতারও হয়নি। এদিকে হত্যাকা-ের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ও সিআইডি মাঠে নেমেছে বলে পুলিশ জানায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং তিন সংস্থার যৌথ তদন্তে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সোনাডঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকার লেদ মেশিন ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় সেনা কর্মকর্তা (অব) মোঃ ইদ্রিস আলীর বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোঃ শামসুদ্দিন ম-লের ছেলে। শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতকারীরা ওই বাসায় গিয়ে আক্তার হোসেন ও মেহেদীকে হত্যা করে। তবে কী কারণে কে বা কারা আক্তার হোসেন ও মেহেদীকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। মেহেদী ইউসেপ স্কুলের কারিগরি বিভাগের ছাত্র এবং আক্তার হোসেনের কারখানায় শিক্ষানবিস হিসেবে লেদ মেশিনের কাজ শিখত। আক্তার হোসেন চলতি মাসে ওই বাসা ভাড়া নেন। মেহেদীর বাবা হুমায়ুন কবীর জানান, তার ছেলে মেহেদী বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিকটবর্তী বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর বাসায় ফেরেনি। কেএমপির সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ আবুল খায়ের ফকির বলেন, একই ঘরে দু’জনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সম্ভাব্য সব বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। শীঘ্রই এর রহস্য উন্মোচন হবে এবং যে বা যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা ধরা পড়বে। তিনি জানান, শনিবার বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেফতারও হয়নি।
×