ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলার বাতিঘর, আপনাকে অভিনন্দন

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলার বাতিঘর, আপনাকে অভিনন্দন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে লেখা অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে গেয়েছেন জীবনের জয়গান। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে উড়িয়েছেন সৃষ্টির পতাকা। সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যা আজ বিশ্বের বিস্ময়। বাংলার বাতিঘর আপনাকে অভিবাদন। শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় মহাসমাবেশে অভিনন্দন পাঠকালে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মানপত্র পাঠের পর সেটি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেন তিনি। অভিনন্দন বার্তায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে এই জাতি আঁতুরঘরে পথ হারিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেই জাতিকে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বল দিন ফিরে পেয়েছি। যে ঐতিহাসিক উদ্যানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে মুক্তির শপথ নিয়েছিলেন বাংলার মুক্তিকামী মানুষ, সেই প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানাই উত্তাল সাগরে প্রগাঢ় অন্ধকারে বাঙালির বাতিঘর জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে আপনি সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যা আজ বিশ্বের বিস্ময়। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ দেশ নির্মাণের ব্রত নিয়ে সতর্ক প্রহরীর মতো আপনি জেগে থাকেন বলে বাংলাদেশ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি বলেছিলেন, এই মাটিতে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হবে। কথা দিয়ে কথা রাখার রাজনৈতিক সংস্কৃতি আপনি ফিরিয়ে এনেছেন। আপনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, সৎ-সাহসী বিভায় আজ বাংলাদেশ উদ্ভাসিত। জনগণ তাদের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন তারা স্বাধীনতাবিরোধী-সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশের পক্ষে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাঙালী বলে পরিচয় দিতে আজ আমরা অহংকার বোধ করি। দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আপনি আজ ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত। বাংলাদেশকে আরও একটি নতুন শতাব্দীর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আপনার গৃহীত ডেল্টা প্লান নতুন প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। আজ আপনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, আপনার উচ্চতা আজ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্ব নেতৃত্বের কাতারে। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বল দিন ফিরে পেয়েছি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একটি জাতি যখন স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ, সেসময় বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি জাতি আঁতুরঘরে পথ হারিয়ে ফেলেছিল। শেখ হাসিনা সেই দেশ, সেই জাতিকে স্পর্ধিত সাহস, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বের বুকে আমরা আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং আমাদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনার (শেখ হাসিনা) প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বের গুণে কেবল জল স্থল নয়, অন্তরীক্ষেও আমাদের গৌরবময় বিচরণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় দিয়ে আমরা আজ গর্ববোধ করি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিবাদন জানাচ্ছি।
×