ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প-উন দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ফেব্রুয়ারির শেষে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

ট্রাম্প-উন দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ফেব্রুয়ারির শেষে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের মধ্যে বহুল আকাক্সিক্ষত দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ফেব্রুয়ারির শেষদিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে শুক্রবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দূত কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠক শেষে এ কথা জানান হয়। গার্ডিয়ান। গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে দুই নেতার মধ্যে হওয়া ঐতিহাসিক প্রথম বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ওই বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে দুই পক্ষের অসন্তুষ্টির মধ্যেই নতুন আরেকটি বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার ‘ডানহাত’ হিসেবে খ্যাত চোলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরপরই হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। বৈঠকে চোল ট্রাম্পকে উত্তরের নেতা কিমের একটি চিঠি দিয়েছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট সময় ও স্থান জানা না গেলেও ট্রাম্প-কিমের নতুন এ বৈঠকটি ভিয়েতনামে হতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে চোলের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের পর প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় অগ্রগতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ ও নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবে। সিঙ্গাপুরের বৈঠকে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সমঝোতা হলেও নিরস্ত্রীকরণের উপায় ও সময়সীমা সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই বৈঠকটির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কয়েক মাস ধরে দুই দেশের সম্পর্কে স্থবিরতা ও কোন কোন ক্ষেত্রে টানাপোড়েন শুরু হয়। এতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ভবিষ্যত নিয়েও সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ট্রাম্প অবশ্য অনেকদিন ধরেই আরেকটি বৈঠকের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে আসছিলেন। অন্যদিকে একই সময়ে বিশ্ব পরিম-লে নিজের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছেন কিম। দক্ষিণের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন নিরসনে নিয়েছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। একবছরে চারবার চীন সফর করে বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টিও প্রকাশ্যে এনেছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি পিয়ংইয়ং একটি পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্র ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে। তবে এরপরও ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পায়নি তারা। এ নিয়ে অসন্তোষও দেখিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
×