ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিয়ালকে টপকে শীর্ষে ম্যানইউ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 রিয়ালকে টপকে শীর্ষে ম্যানইউ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আয়ের দিক দিয়ে বেশিরভাগ সময়ই শীর্ষে থাকে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এবার স্পেনের দুই পরাশক্তি বার্সিলোনা ও রিয়ালকে টপকে এক নম্বরে উঠে এসেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের লড়াইয়ে তেমন সফল হতে না পারলেও এ দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে রেড ডেভিলসরা। ইউরোপের শীর্ষসারির ৭১০টি ফুটবল ক্লাব ২০১৭’র আর্থিক বছরে মোট ২০.১১ বিলিয়ন ইউরো (২২.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আয় করেছে। এর অর্ধেকই গেছে ৩০ ক্লাবের এ্যাকাউন্টে। উয়েফার বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্লাব লাইসেন্সিং ও বেঞ্চমার্কিং প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ইউরোপের শীর্ষ ১০টি লীগে আয়ের একটা বড় অংশ আসে জুয়া ও পোশাক স্পন্সরশিপ থেকে। ৫৪টি ঘরোয়া লীগে ২৬ জুয়া কোম্পানি বিভিন্ন দলের জার্সি স্পন্সর। ইউরোপের ফুটবল দেখার ক্ষেত্রে প্যারিস সবচেয়ে ব্যয়বহুল জায়গা। অর্থাৎ পিএসজির খেলা দেখতে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হয় সমর্থকদের। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিরোপার মুখ দেখছে না ম্যানইউ। আগের চেয়ে তাদের আয়ও কিছুটা কমেছে। তবুও সবার উপরে রেড ডেভিলরা। সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করেছে তারা। ২০১৭ সালে তাদের আয় ৬৭৬ মিলিয়ন ইউরো। আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৬’র চেয়ে ১৩ মিলিয়ন কম। ম্যানইউর চেয়ে মাত্র এক মিলিয়ন কম নিয়ে আয়ের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। তিন নম্বরে বার্সিলোনা। এরপর যথাক্রমে বেয়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটি, পিএসজি, আর্সেনাল, লিভারপুল, চেলসি ও জুভেন্টাস। তাদের সবার আয়ই অন্তত ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর উপরে। ঘরের মাঠে গড় দর্শক উপস্থিতিতে সবার উপরে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তাদের গড় দর্শক উপস্থিতি ৭৯,৪৯৬। এরপর আছে বেয়ার্ন মিউনিখ ৭৫,০০০ এবং ম্যানইউ ৭৪,৯৭৬ জন। হোম এ্যাওয়ে মিলিয়ে দর্শক উপস্থিতিতে সবার উপরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের মোট দর্শক উপস্থিতি ছিল ১.৪২ মিলিয়ন। ম্যানইউর পরে আছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (১.৩৫ মিলিয়ন) এবং তিনে টটেনহ্যাম (১.২৯ মিলিয়ন)। গড় দর্শক উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি জার্মান বুন্দেস লিগায়। জার্মানদের উপস্থিতি ৪৪,৫১১ জন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ৩৮,৩১০, স্প্যানিশ লা লিগায় ২৭,০৬৮ ও ফরাসী লীগ ওয়ানে ২২,৫৪৮ জন। এদিকে খরচের হিসেবে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়েছে বার্সিলোনা। ইতিহাসের প্রথম ক্লাব হিসেবে পেরিয়ে গেছে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর মাইলফলক। বেতন-ভাতা খাতে ২০১৮ সালে বার্সিলোনার মোট খরচ ৫৬২ মিলিয়ন ইউরো। আর ৩৩২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তাদের পড়ে অবস্থান করছে নেইমার-এমবাপেদের দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। অর্থাৎ দ্বিতীয় খরচে দলটার চেয়ে কাতালান ক্লাবটির খরচ ২৩০ মিলিয়ন ইউরো বেশি। তৃতীয় খরচে দল ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। গত বছরে তারা খরচ করেছে ২৯৩ মিলিয়ন ইউরো। কেপিএমজির গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্যই। মূলত চড়া দামে নতুন খেলোয়াড় ক্রয় এবং পুরনোদের চুক্তি নবায়নের কারণেই বার্সিলোনার খরচ আকাশ ছুঁয়েছে। গত বছরে ফিলিপ কুটিনহো ও উসমান ডেম্বেলেদের মতো খেলোয়াড়দের কিনেছে দলটি। যাদের বেতনও চড়া। এছাড়া নতুন চুক্তির পর তো মেসির বেতনও বেড়েছে বড় অঙ্কে। এক মেসির পেছনেই বার্সিলোনার বছরে খরচ ৫০ মিলিয়ন ইউরো। সব মিলিয়ে আগের বছরের চেয়ে খরচ বেড়েছে ৪২ শতাংশ।
×