ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ শীঘ্রই

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ শীঘ্রই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্যাপসুলের মান নিয়ে শঙ্কা থাকায় এবারের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচী স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আজ শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরবর্তী তারিখ দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি সাংবাদিকদের জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল একটির গায়ে অপরটি লেগে যাচ্ছে এমন অভিযোগ আসায় পরীক্ষার জন্য সময় নেয়া হচ্ছে। বড় কোন দুর্ঘটনার আগে বিষয়টি নজরে আসাকে ইতিবাচক বললেও এটি খতিয়ে দেখার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। মন্ত্রী জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল মেয়াদোত্তীর্ণ নয়। হঠাৎ করেই কিছু এলাকা থেকে ক্যাপসুল একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে যাওয়ার অভিযোগ আসায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল মজুদ রয়েছে, দ্রুত পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্যাপসুলগুলো একটা আরেকটার সঙ্গে লেগে গেছে তার মানে এই নয় যে ক্যাপসুলের ভেতরের উপাদানগুলোর মানও নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বিষয়ে কী গাফিলতি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে সবার আগে। শিশুদের নিয়ে কোন ঝুঁকি না নেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান তারা। যেহেতু ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে কেনার ব্যবস্থা আছে, রাষ্ট্রসম্মত পিপিআর অনুযায়ী, এ বিষয়ে আইনগত যে বিধি-বিধান আছে সেগুলো পালন করে ভবিষ্যতে কার্যক্রম চালাতে অনুরোধ করেন তারা। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। শুধু বছরে ২ বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ১৯৮২ সালে যেখানে বছরে শতকরা ৩.৭৬ জন শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো, এখন সেখানে এই হার শতকরা ০.০৪ ভাগে নেমে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকার পরিচালিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এবং সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে। ক্যাম্পেইন দিবসে একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে, উদ্দিষ্ট সকল শিশুকেই যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। বছরে ২ বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশুদের রাতকানা, অন্ধত্ব, অপুষ্টি ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
×