ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৯৯৯ ॥ তিন ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 ৯৯৯ ॥ তিন ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তথ্য দেয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হচ্ছে তৌফিকুর রহমান (২৫) ও শরিফুল ইসলাম (২৬)। এ সময় অপহৃত শহীদুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, অপহৃতের শ্যালক গোলাম সরওয়ারের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারী দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে ধানমন্ডি থানা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গ্রেফতারদের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। শুক্রবার তাদের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এর পুলিশ সুপার মোঃ তবারক উল্লাহ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি ফোন আসে। ফোনে শহীদুল নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি আমরা দ্রুত ধানমন্ডি থানায় পুলিকে জানিয়ে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলি। ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ অভিযোগকারী অপহৃত শহীদুলের শ্যালক গোলাম সরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে পুলিশ তিন ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারী দু’জনকে গ্রেফতার করে। অপহৃতের শ্যালক গোলাম সরওয়ার জানান, দুলাভাই কুমিল্লা থাকেন। সেখানে ব্যবসা করেন। লিভারে অসুস্থতা নিয়ে তিনি বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারী হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি ইঞ্জেকশন দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হাসপাতালের ছয়তলা থেকেই অপহরণকারী তাকে নিচে নিয়ে আসে। পরে কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। শহীদুলের কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার একটি চেক কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা। তিনি জানান, পরে অপহরণকারীরা দুলাভাই শহীদুলের মুঠোফোন থেকে তার কাছে ফোন করে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়। টাকা না দিলে দুলাভাই শহীদুলকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। গোলাম সরওয়ার জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চাওয়ার পর তিনি ‘৯৯৯’-এ ফোন করে পুরো ঘটনা পুলিশকে জানাই। ফোন করার ১০ মিনিটের মাথায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সবুর খান জানান, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে তারা ভুক্তভোগী শহীদুলকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য তৌফিকুর ও শরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পাঁচদিন রিমান্ড চেয়ে গ্রেফতাররা দুই অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
×