ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে ॥ মন্তব্য বিশিষ্টজনদের

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে ॥ মন্তব্য বিশিষ্টজনদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। তাঁরা বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে যা-ই বলা হোক না কেন, সংবিধান মোতাবেক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে এখন নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে। নির্বাচন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতা-বিরোধীরা কখনও দেশের ভাল চায় না। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা আরও বলেন, আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। তার আগে এই স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তা না হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই। কিন্তু বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট কখনও নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেছেন, আবারও গালিও দিচ্ছেন। বাস্তবে নির্বাচনকে বানচাল করার তাদের গভীর ষড়যন্ত্র ভ-ুল হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি একাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে না পেরে নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বিএনপি-জামায়াত জোট একাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার সুনির্দিষ্ট ও উপযুক্ত কোন প্রমাণ পায়নি। এরপরও দেশের উন্নয়নের পথকে অমসৃণ করতে তুলতে স্বাধীনতাবিরোধীরা অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস মালেক বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যাই বলা হোক না কেন, নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। গত এক দশকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, দেশটি আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই ১০০ ভাগ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই কথাটি সত্য। এর পেছনে দায়ী সরকারী ও বিরোধী দলের কিছু দায়িত্বহীন লোক। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে, কিছু অনিয়মতান্ত্রিকতার আশ্রয় নিয়েছে। তবে এটিকে ইস্যু করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার কোন যৌক্তিকতা নেই, সুযোগও নেই। বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফায়েকুজ্জামান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আশফাক হোসেন প্রমুখ।
×