ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলবে বরিশাল

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সিঙ্গাপুরকে  পেছনে ফেলবে বরিশাল

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের মতো সক্ষম হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি। এছাড়া দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র হতে যাচ্ছে বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়নের মেঘের চর নামক এলাকায়। ফলে দক্ষিণাঞ্চল হতে যাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় ‘সিঙ্গাপুর’ শহর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের নেয়া ব্যাপক উন্নয়ন মহাযজ্ঞে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এতে মহাখুশি দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা। ফলশ্রুতিতে সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করে বিভাগের ২১ আসন উপহার দেয়া হয়েছে। উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলমান কাজ সম্পন্ন হলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছু আয়ের শহর হবে বরিশাল। সিঙ্গাপুরের মতো এমনিতেই আলাদা নির্ভরতা রয়েছে বরিশালের। আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় অগ্রাধিকার পাওয়ায় সমৃদ্ধ অর্থনীতি পাবে বিভাগের ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলাও। শেখ হাসিনার সরকারের সারাদেশে উন্নয়নের পথযাত্রায় সেই অবহেলিত বরিশাল বিভাগের সর্বত্র বদলে যেতে শুরু করেছে। চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যাহত অগ্রগতিতে একসময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে এখন সারাদেশের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ আগ্রহের নেপথ্যে কাজ করছেন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুনজরে ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিগত দশ বছরে সর্ববৃহৎ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। অথচ একটা সময় ছিল যখন বরিশালকে বাঁকাচোখে দেখে অবজ্ঞা করা হতো। কারণ তখন বরিশালের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা ছিল অবহেলিত। সবদিক থেকে পিছিয়ে ছিল গোটা অঞ্চল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজরে দ্রুতই বদলে যেতে থাকে সবকিছু। সহসাই যেন উদ্ভাসিত হতে চলেছে অপার সম্ভাবনার দুয়ার। কারণ বরিশালের সমুদ্রবন্দর আর পর্যটন শিল্পকে ঘিরে এমন সব কর্মযজ্ঞ চলছে যা কখনও কেউ স্বপ্নেও ভেবে দেখেননি। সাগর বিধৌত নদী বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কল্যাণে সরাসরি রেলপথ যাবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল দিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে এ কাজ শেষ করা হবে। রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের প্রিলিমিনারি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল পিডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। পিডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে নয় হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজ অর্থায়ন এক হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ধরা হয়েছে সাত হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। চীন সরকারের নমনীয় ঋণ অথবা যে কোন উন্নয়ন সহযোগী দেশের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। এই সময় সীমার মধ্যেই এ কাজ শেষ করতে চায় শেখ হাসিনার সরকার। সূত্রমতে, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশ সরকার ঔপনিবেশিক বাংলায় রেলওয়ে স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে ইংল্যান্ডে চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বৃহত্তম রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যা দেশের জন্য এখনও গর্ব। এসব কথা বিবেচনায় নিয়ে বরিশাল থেকে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ ব্রিটিশ কোন কোম্পানিকে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে কলাপাড়া, হাজীপুর এবং মহিপুর পয়েন্টের সেতু সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। শেষপর্যায়ে রয়েছে লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ। এইসঙ্গে দেশের সবচেয়ে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচল করছে বিলাসবহুল অত্যাধুনিক নৌযান। দীর্ঘ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর শেখ হাসিনার সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান ছাড়াও চলাচল করছে বেসরকারী ইউএস বাংলা এবং নভো এয়ারের বিমান। শুধু তাই নয়, দ্রুত কুয়াকাটা এবং পায়রা বন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বরিশাল শুধু এগিয়েই যাবে না, চলে যাবে সামনের কাতারে। পর্যটনে কুয়াকাটা তথা বরিশাল হবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। শুধু পর্যটনই নয়, বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে পায়রা। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এই সমুদ্র বন্দরটি দক্ষিণ জনপদের অর্থনীতির চিত্র বদলে দেবে। শুধু তাই নয় মাদার ভেসেল নোঙ্গরের সুবিধাসহ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের চেয়েও আধুনিক মানের হিসেবে গড়ে তুলতে পায়রা সমুদ্র বন্দরের বিভিন্ন অংশের নির্মাণ কাজ চলছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের রাবনাবাদ চ্যানেলের সামনে। বন্দরে কনটেনার টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনাল, বাল্কহেড টার্মিনাল, শিপইয়ার্ড, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণসহ চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। পদ্মা সেতু আর পায়রা বন্দর চালু হলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল হবে সিঙ্গাপুরের চেয়েও সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল। একইস্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার বিরল সুযোগ রয়েছে জাপানে। ঠিক একই সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। এ পর্যটন কেন্দ্রে (কুয়াকাটা) যাওয়ার পথে এখন তিনটি ফেরি পয়েন্টে যে সেতু চালু হয়েছে, তাতে করে ঢাকাসহ দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখন অত্যন্ত আয়েশে ভ্রমণ করছেন। কুয়াকাটায় এখন থাকা-খাওয়ার সমস্যা নেই। এখানে ভালমানের অনেক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বেড়ানো ছাড়াও এখন কুয়াকাটায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আলহাজ সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্র বন্দরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করতে হয় বহির্নোঙ্গরে। রাবনাবাদ চ্যানেল অনেক গভীর হওয়ায় পায়রা সমুদ্র বন্দরে সরাসরি পণ্য খালাস করতে পারবে মাদার ভেসেলগুলো। এতে পণ্য আমাদানি-রফতানিতে পরিবহন খরচ অনেক কমবে। বরিশালে শিল্প কলকারখানা-গার্মেন্ট হলে কম খরচে শ্রমিক পাওয়া যাবে। উৎপাদন ব্যয়ও কমবে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরে দক্ষিণাঞ্চল সিঙ্গাপুরের চেয়েও সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চলে রূপ নেবে। পায়রা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, যখন একটি বন্দর গড়ে ওঠে, তখন সেই বন্দর ঘিরে অনেক কলকারখানা-গার্মেন্ট স্থাপন, আমদানি-রফতানিসহ ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে এই বন্দর বরিশালের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরের অদূরে লালুয়া ইউনিয়নে এক হাজার একর আয়তন এলাকা ঘিরে চলছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে মূল বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের কাজ। এখানেও কাজ করার সুযোগ পাবে চার শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা। বিদ্যুত প্রকল্প ঘিরে আন্দারমানিক নদী তীরে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। এছাড়া উচ্চশিক্ষার জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে মাইলফলক গড়েছে। এখানে আছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আলাদা মহিলা ও পুরুষ টেকনিক্যাল ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি)। রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হবে। চালুর অপেক্ষায় রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং মেরিন একাডেমি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চশিক্ষার জন্য বরিশালেই রয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা। অপরদিকে বরিশালের পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্কের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে নির্মিত হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। বরিশালে গড়ে উঠছে আইসিটি পার্ক (হাইটেক পার্ক), বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার ও অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন বয়ে আনবে। ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প গত বছরের ১১ অক্টোবর একনেকের সভায় অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরিশালের আগৈলঝাড়া ও ভোলায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, ভোলা-বরিশাল ব্রিজ, ভোলার গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে বরিশালে আনার উদ্যোগসহ শেখ হাসিনা সরকারের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নে এখানে ব্যাপক হারে গড়ে উঠবে দেশী-বিদেশী শিল্প-কলকারখানা। উন্নয়ন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বপ্নের জেলা বরিশাল যে প্রকল্পের ওপর ভর করে বদলে যাচ্ছে সেগুলোও এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রকল্পের জন্য বরিশাল জেলার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন সে সবের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বরিশালবাসীর মাঝে। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস সিঙ্গাপুর বনে যাওয়া সম্পর্কে বলেন, সিঙ্গাপুর একদিনে এমন হয়নি। একসময় মালয়েশিয়া তাদের বের করে দিয়েছে। তাদের নেতা লি কুয়ানের অদম্য প্রচেষ্টায় সিঙ্গাপুর আজ এ অবস্থায়। মাত্র ৭৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সিঙ্গাপুর এখন সারাবিশ্বে উজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে দীর্ঘদিন থেকে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে ‘উন্নয়নের রূপকার’ খেতাব অর্জন করা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় এসেছেন, ততবারই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে অসংখ্য মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলেই দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের মতো ফুটে উঠবে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল।
×