ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুই গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো ॥ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 দুই গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো ॥ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ আমলাভাঙা খাল। একপাড়ে দক্ষিণ কাজিরহাওলা, অন্যপাড়ে কাছিয়াবুনিয়া গ্রাম। দুই গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষের যোগাযোগ ভরসা ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে বাঁশের সাঁকো। তাও এখন নড়বড়ে। এর মধ্যে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত এক হাজার মানুষ এ সাঁকো দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছে। এ দুই গ্রামের অবস্থান পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নে। স্থানীয় লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, গ্রামবাসী নিজেদের শ্রম ও অর্থায়নে ২০১৪ সালে দক্ষিণ কাজিরহাওলা এবং কাছিয়াবুনিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আমলাভাঙা খালের ওপর এ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন। ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সাঁকোটি নির্মাণে তখন প্রায় ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এরপর একাধিকবার মেরামত করা হলেও বর্তমানে এ সাঁকোটির নড়বড়ে অবস্থা। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পার হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করছে। দক্ষিণ কাজিরহাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সূচনা আক্তার জানায়, সাঁকো পার হতে তার খুব ভয় করে। তারপরেও তাকে এ সাঁকো পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল হাসান জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×