ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজদিখানে ধুলাবালির সঙ্গে জীবনযাপন

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 সিরাজদিখানে ধুলাবালির  সঙ্গে জীবনযাপন

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ধুলাবালির সঙ্গে যুদ্ধ করেই জীবনযাপন করছে সিরাজদিখানের মানুষ। সড়ক সংস্কারে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলমান থাকায় প্রকৃতির হাওয়ায় উড়ছে ধুলাবালিও। বিভিন্ন সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ঘর থেকে সড়কে নামলেই ধুলাবালির কবলে পড়ছেন মানুষজন। আর এ থেকে রক্ষা পেতে খুব কম সংখ্যক মানুষই মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশির ভাগ মানুষই অসচেতনার কারণে ধুলাবালির সঙ্গে যুদ্ধ করেই জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। ফলে শ্বাসকষ্টসহ চুলকানি, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকদের মতে, শ্বাসনালী দিয়ে এসব ধুলাবালি প্রবেশের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও হতে পারে মানুষের। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বালুচর, লতব্দী, বাসাইল কেয়াইন, চিত্রকোট, রশুনয়া, বয়রাগাদী ও শেখরনগর ইউনিয়নে এবং মাওয়া মহাসড়কের ধুলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এমনকি সড়কে দায়িত্বরত পালনকারী ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি বসতবাড়ী, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চায়ের দোকান, মুদি দোকান, খাবার হোটেলে উড়ে গিয়ে পড়ছে এসব ধুলাবালি। বিক্রমপুর কে বি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সামছুল হক হাওলাদার বলেন, নাক চেপেও রেহাই পাওয়া যায় না, সব সময় মাক্স ব্যবহার করতে হয়। সিরাজদিখান বাজারের দোকানদার মানিক মিয়া বলেন, রাস্তায় গাড়ি এসে থামার সঙ্গে-সঙ্গে পেছন দিক থেকে ধুলা এসে ভরে যায়। মিনিটের মধ্যে দোকানসহ আমি সাদা হয়ে যাই। এসব নিয়ন্ত্রণ করা বা দেখার যেন কেউ নেই। যত দুর্ভোগ সব জনগণের। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দুলাল হোসেন জানান, ধুলা বালুর সঙ্গে মিলে যে শুধু শ্বাসনালীর বা ফুসফুসের আক্রান্ত হতে পারে তা নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে ধুলাবাহিত বায়ু দূষণের রোগবালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে।
×