ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে নকল ও অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে নকল ও অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার

অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধের কার্যকরী উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা স্থাপনে লাইসেন্সিং নীতিমালা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর ফলে নকল ও অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধে হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, জনস্বার্থে ও সরকারের রাজস্ব নিশ্চিতকরণে (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) আইএমইআই ডাটাবেস চালু করছে বিটিআরসি। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চালু হতে পারে এই কার্যক্রম। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) উদ্যোগ ও বিটিআরসির তত্ত্বাবধায়নে মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরে ডাটাবেস করার কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন করেছে বিটিআরসি। আর এই ডাটাবেস চালু হলে সাধারণ মানুষ মোবাইল কেনার সময় চেক করে দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে অটোমেটেড সিস্টেমের মতো এসএমএস সার্ভিস চালু থাকবে। যার মাধ্যমে গ্রাহক বুঝতে পারবে সেটটি বৈধ নাকি অবৈধ। এছাড়াও বাংলাদেশে উৎপাদিত ও বিদেশ থেকে আমদানি সেটে আইএমইআই নম্বর সবসময় হালনাগাদ করবে বিটিআরসি। প্রতিটি হ্যান্ডসেটে ১৫ সংখ্যার একটি অনন্য নম্বর থাকে, যা আইএমইআই নামে পরিচিত। হ্যান্ডসেটে #06# এ নম্বরগুলো পরপর চাপলে আইএমইআই নম্বর জানা যায়। হ্যান্ডসেটের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, মডেল ও ক্রমিকের সমন্বয়ে গঠন করা হয় আইএমইআই নম্বর। এনইআইআর স্থাপনের মাধ্যমে দেশে ব্যবহৃত প্রতিটি হ্যান্ডসেটে থাকা আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর শনাক্ত করা সম্ভব হবে। বিটিআরসির সূত্রে আরও জানা গেছে, হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নে তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিচ্ছে। এজন্য লাইসেন্সিং নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়াও এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তবে এক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতে পারে। তবে এই কার্যক্রম মনিটারিং করবে বিটিআরসি। আর আইএমইআই এর পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেস থাকবে বিটিআরসিতে। দেশের সব হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর দিয়ে ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশনা দেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিয়মিতভাবে হালনাগাদও করতে হবে এ ডাটাবেজ। আর এটি করতে হবে সেলফোন অপারেটরদের নিজ উদ্যোগেই। জানা গেছে, বর্তমানে আইএমইআই নম্বর নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় চুরি হওয়া হ্যান্ডসেটের প্রকৃত মালিক শনাক্ত ও উদ্ধার অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। এছাড়া প্রকৃত আইএমইআই নম্বরবিহীন নকল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের হ্যান্ডসেট উদ্ধারেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ব্যাপারে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি গ্রাহকের নিরাপত্তার স্বার্থে ও সরকারের টেলিকম খাতে রাজস্ব নিশ্চিতকরণে এই ডাটাবেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর এটা টেলিকম খাতে সরকারের একটি বড় অর্জন বলে পরিগণিত হবে।
×