ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়নুল গ্যালারিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘দেশ-বিদেশ’

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

জয়নুল গ্যালারিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘দেশ-বিদেশ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রকৃতির রং লাগানো সব ছবির সমাহার। দেখা মেলে আইসল্যান্ডের সবুজ পাহাড় আর সমতটের মিতালি, আমেরিকার লাল-কালো রংয়ের আন্টিলোপ ক্যানিয়ন ও রংধনু রংয়ের ইয়োলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক কিংবা ইতালির রোমের কলোসিয়াম উঠে এসেছে ক্যামেরায় শৈল্পিক মোহময়তায়। আছে সুনামগঞ্জের হিজল বন, আলমডাঙার হলুদে প্রান্তর, পতেঙ্গায় সূর্য ডোবার, ঠাকুরগাঁয়ে দানবীয় আম গাছের ছবি। দেশ-বিদেশের এমন নিসর্গের নান্দনিকতা ছোঁয়া আলোকচিত্র নিয়ে চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘দেশ-বিদেশ’। আলোকচিত্রী সাংবাদিক আহমেদ পিপুল ও বিশ্ব পর্যটক খ্যাত আলোকচিত্রী তানভীর অপুর তোলা ২০টি আলোকচিত্র নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘ভ্রমণ ও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চায় দূর হবে মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের আগ্রাসন’ স্লোগানে এই প্রদর্শনী উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা হয় চারুকলা প্রাঙ্গণে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়ারণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। ডাঃ দীপু মনি বলেন, একটি ভাল আলোকচিত্রের অনেক শক্তি। তার প্রমাণ আমরা পাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি ছবি দিয়েই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে সেখানে প্রতিটি নাগরিকের বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠার সুযোগ অনেক বেশি। আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদের শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে পারি। আলোকচিত্র মানুষের মনের দরজা খুলে দেয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আলোকচিত্রে মধ্য দিয়ে আমরা কোন মুহূর্ত, ভাল লাগা এমনকি মন্দ সময়কেও ধরে রাখি। আমার নিজেরও ছবি তুলতে পছন্দ করি। কিন্তু যিনি প্রকৃতপক্ষে আলোকচিত্রী তার দেখার চোখ আরেকটু ভিন্ন। তার ক্যামেরায় মধ্য দিয়ে তিনি অনেক না দেখাকে সামনে তুলে আনেন। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। কারণ প্রদর্শনীর আলোকচিত্রীরা পেশাদার নন শখের বসে ছবি তোলেন। তারা ভ্রমণপিপাসু। চারুকলা এ প্রদর্শনীর জন্য উপযুক্ত স্থান। কারণ এখান থেকে শিল্পের ভাবনাটি ছড়িয়ে যায়। জাতির জনকের স্বপ্ন বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মও কাজ করছে। এ আয়োজনটি সেই স্বপ্ন পূরণের পথেই একটি নিয়ামক। নিসার হোসেন বলেন, ছবিগুলো বেশ শিল্পমানসম্পন্ন। আলোচিত্রীরা তাদের মন-প্রাণ মিশিয়ে কাজ করেছেন। শিল্পকলার শিক্ষার্থীরা প্রদর্শনী থেকে উপকৃত হবেন। তিনদিনের এ প্রদর্শনী শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি। এই দুই দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×