ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইনে এলসির তথ্য যথাসময়ে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

অনলাইনে এলসির তথ্য যথাসময়ে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এক্সেসরিজ সরবরাহের তথ্য যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থায় দিচ্ছে না অনেক ব্যাংক। ফলে বন্ড সুবিধা পেতে জটিলতায় পড়ছেন এক্সেসরিজ সরবরাহকারীরা। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রফতানি পণ্য জাহাজীকরণে সমস্যা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রসহ সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন অনলাইন রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে এক নির্দেশনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রসহ সব ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন বিষয়ে অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। দেশের রফতানি বাণিজ্য প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এক্সেসরিজ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাড়ার ফলে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ শুল্ক বা বন্ড সংক্রান্ত বিধি-বিধান পরিপালনীয় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন রিপোর্টিং ব্যবস্থায় সংরক্ষিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিবেচনা করা হয়। তবে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্থাপনকারী ব্যাংক অনলাইন ব্যবস্থায় যথাসময়ে রিপোর্ট করে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পেরেছে। পাশাপাশি ঋণপত্র সংশোধন হলে সে অনুযায়ী আগে রিপোর্ট করা অনলাইন ব্যবস্থার তথ্য সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অনলাইন ব্যবস্থায় অপূর্ণাঙ্গ তথ্যের কারণে ঋণপত্রের সুবিধাভোগীদের নানান সমস্যা হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সার্বিক তথ্য যথাসময়ে অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করার নির্দেশনা দেয়া হলো।
×