ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৬ জানুয়ারি ॥ ধলেশ্বরী, এর শাখা নদী ও এলেংজানী নদীতে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার মেশিন এবং ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বালুখেকোরা। কতিপয় প্রভাবশালী স্থানীয় নেতাকর্মীর নাম ব্যবহার করে কয়েকটি স্থানে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছে বালু ব্যবসা। এছাড়া বালুভর্তি ট্রাক ও মহেন্দ্র ট্রাক্টর অবাধে চলাচল করায় কয়েকটি কাঁচাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বালুর ট্রাক চলাচলে ধুলাবালিতে নদীপারের বসতবাড়িতে বাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার কেদারপুর সেতুর উভয়পাশে ভেকু ও মহেন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি। দিনেরবেলায় বালু উত্তোলনের কোন কার্যক্রম না থাকলেও সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় বালু উত্তোলনের কাজ। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হয় না। এছাড়া পাকুটিয়া ইউনিয়নের বাথুরা, ধলেশ্বরী লিবাড় শাখা নদীতেও ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কেদারপুর সেতুর উভয়পাশে ২ থেকে ৩টি মহেন্দ্র ট্রাক্টর নিয়ে বালু উত্তোলন করছে। পাশেই রয়েছে ভেকু মেশিন। দিনেরবেলায় ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন না করলেও রাতভর চলে বালু উত্তোলন। এলাকাবাসী জানায়, কেদারপুরের জাফরের ছেলে জহিরুল ও তার সহকর্মীরা প্রতিবছর এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করে। এর পরই ধলেশ্বরীর শাখা নদী থেকে স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে সিরাজী নামের এক ব্যক্তি ড্রেজার বসিয়ে চালাচ্ছে বালু উত্তোলন। এখানেই শেষ নয়। কুকুরিয়ার ধলেশ্বরী লিবাড় শাখা নদীতে ভেকু ও ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে সাবেক নেতা শামীম। এবং তাকে সহযোগিতা করছে রফিক মেম্বার, সেলিম ও রশিদ। এ ছাড়া পাকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফ এবং তার সহযোগী মাসুদ, জজ মিয়া ও জিন্নাহ এলেংজানী নদীতে দুটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। পাশেই ১ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে চারটি ড্রেজার। দেগুরিয়া গ্রামের খালেক ও রাথুরার পীর বজলু বসিয়েছে ২টি ড্রেজার। আর নদীর দুই পাশে বালুরপাড় তৈরি করে তা ট্রাক দিয়ে বিক্রি করছে বজলু ও তার সহযোগীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের কোন নজর নেই এই ড্রেজার ব্যবসায়ীদের ওপর। পুলিশ আসে টাকা পায় চলে যায়। ড্রেজার ব্যবসায়ী আরিফ মেম্বার বলেন, আমি অনেক ক্ষমতাশালী মেম্বার। আমি নদীতে ড্রেজার চালাই এটা আমার ব্যবসা। আর আমি প্রশাসন ও নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করেই চালাই। এটা নিয়ে আপনাদের এত ভাবতে হবে না। ড্রেজার ব্যবসায়ী বজলু বলেন, ভাই অনেকেই তো আসে, আপনাদেরও ভাল সম্মানী করব।
×