ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

টাঙ্গাইলে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৬ জানুয়ারি ॥ দেলদুয়ারে সেচ প্রকল্পের শ্যালো মেশিন নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের ফলার আঘাতে ছোট ভাই বাদল মিয়া (৫০) নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা সদরের সানবাড়ি গ্রামের দক্ষিণপাশে ফসলের মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় এলাকার মাতবরসহ উভয়পক্ষের আরও ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেরিয়াঘোনা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের স্থাপিত একটি শ্যালো মেশিন নিয়ে তার ৫ ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর আগে স্থানীয় মাতবররা একাধিকবার সালিশ করেও বিরোধের মীমাংসা করতে পারেনি। বড় ভাই তারা মিয়া ছোট ভাইদের মেশিনের ভাগ দিতে বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল। এর মধ্যে মেজ ভাই বাদল মিয়া আট দিন আগে বিদেশ থেকে বাড়ি এলে ৪ ভাই মিলে বুধবার সকালে ওই শ্যালো মেশিনের দখল নিতে যায়। একপর্যায়ে বড় ভাই তারা মিয়া এবং তার ছেলেদের সঙ্গে প্রথমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে লাঠি-ফলা-দা ও টেঁটাযুদ্ধ শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাতবরসহ উভয়পক্ষের ৭ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা হলো- দেলদুয়ার উত্তরপাড়ার জিন্নত আলীর ছেলে ইব্রাহিম ইবু (৫০) টেঁটাবিদ্ধ, ফাজিলহাটি ইউনিয়নের বেতবাড়ি গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে দয়াল মিয়া (৫০), টেরিয়াঘোনা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আয়নাল (৪৫) ও তার ভাই সমেজ উদ্দিন (৪৭), তারা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২৪) ও দেলদুয়ার পশ্চিমপাড়ার মৃত কালু মিয়ার ছেলে মনির উদ্দিন মাতবর (৬৫)। গাইবান্ধায় পাওনাদার নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, পলাশবাড়ীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে আব্দুর রহিম (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৩৬)। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের কালুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আব্দুর রহিম ওই গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। নিহতের স্ত্রী আহত রশিদা বেগম জানান, প্রতিবেশী মেহের আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া ও জায়দালের ছেলে আনারুল হকসহ আব্দুর রহিম ঢাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে রিক্সা চালাত। ওই ঘর ভাড়ার ২শ টাকা নিয়ে জুয়েল ও আনারুলের সঙ্গে রহিমের বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার রাত ১০টায় আনারুল ও জুয়েল মিয়া ৩ সঙ্গীসহ তাদের বাড়িতে এসে বাগবিত-া শুরু করে। একপর্যায়ে তারা রহিমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। এ সময় বাধা দিলে স্ত্রী রশিদাকেও তারা মারপিট করে আহত করে। পরে প্রতিবেশীরা রশিদাকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করলেও স্বামী রহিম গুরুতর আহত অবস্থায় ক্লা- হয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাতের কোন এক সময় রহিমের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুলনায় নারী স্টাফ রিপোর্টার খুলনা অফিস থেকে জানান, ভৈরব নদ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর থানা পুলিশ মহানগরীর ৭ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রুজভেল্ট জেটি এলাকা থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বোরকা পরিহিত ওই নারীর মুখ মাফলার দিয়ে বাঁধা ছিল।
×