ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসী হামলায় মৃত বেড়ে ১৪

কেনিয়ায় হোটেলে বন্দুকযুদ্ধের অবসান, সব ‘জঙ্গী’ নিহত

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

কেনিয়ায় হোটেলে বন্দুকযুদ্ধের অবসান, সব ‘জঙ্গী’ নিহত

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির বিলাসবহুল হোটেল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে হামলাকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের অবসান হয়েছে। সব ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা। হামলায় ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি এবং ৭শ’ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে বুধবার টিভিতে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে জানিয়েছেন। তবে কেনিয়ার রেড ক্রস নিহতের সংখ্যা ২৪ উল্লেখ করেছে। মঙ্গলবারের এ হামলার পরদিন সকালেও ওই কমপ্লেক্সের ভিতরে অন্তত দুই দল লোক আটকা পড়ে ছিলেন এবং নিরাপত্তা বাহিনী কমপ্লেক্সটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিল। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গুলির শব্দ শোনা যায় এবং বিক্ষিপ্তভাবে তা চলছিল বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন জরুরী বিভাগের এক কর্মকর্তা। আধাসামরিক বাহিনীর আহত এক কর্মকর্তাকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি এখন নিশ্চিত যে... দূষিত হোটেলে নিরাপত্তা অভিযান শেষ হয়েছে। আর সব সন্ত্রাসীও নির্মূল হয়েছে।’ ‘আমরা এ ঘৃণ্য হামলার পরিকল্পনা করা থেকে শুরু করে তহবিল সরবরাহ এবং হামলা চালানো পর্যন্ত জড়িত প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করব। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার পর অন্তত চার জন বন্দুকধারী অভিজাত ওই হোটেল কমপ্লেক্সটিতে হামলা শুরু করে। প্রথমে পার্কিং এলাকায় একটি বিস্ফোরণ ঘটে এরপরই হোটেলের হলরুমটিতে একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরিত হয়। হতাহতদের অনেক হোটেলের ‘সিক্রেট গার্ডেন’ রেস্তরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন এবং তাদের অনেকের দেহই খাবারের টেবিলের নিচে পড়ে ছিল। মর্গের কর্মীরা জানান, নিহতদের মধ্যে ১১ জন কেনীয়, একজন মার্কিন ও একজন ব্রিটেনের নাগরিক রয়েছেন। সোমালি জঙ্গীগোষ্ঠী আল-শাবাব এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। এলজি ইলেকট্রনিক্সের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিরাম মাচেরিয়া জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে ও তার কয়েকজন সহকর্মীকে তাদের অফিস থেকে উদ্ধার করে। পরে তিনি জানাতে পারেন তার এক সহকর্মী মারা গেছেন। ‘আমাদের এক সহকর্মী ভবনের উপরে গিয়েছিলেন, পরে সেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়, রয়টার্সকে বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেড মাতিয়াঙ্গি ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ আছে বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু রাতে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে তার ওই দাবি প্রমাণিত হয়নি। তার এ ঘোষণায় ভিতরে আটকা পড়াদের উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে পড়ে। ভিতরে আটকা পড়াদের কয়েকজন বার্তা পাঠিয়ে চিকিৎসা সহায়তা চান। জরুরী বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সকাল ৭টার আগেও অন্তত দুটি দল হোটেল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে আটকা পড়েছিলেন। অনেকেই মর্গে ও হোটেলে কাছে জড়ো হয়ে তাদের নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজ করছিলেন।
×