ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে ক্লাবগুলোর প্রস্তুতি

দ্বিতীয় শিরোপায় দৃষ্টি শেখ রাসেলের

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

দ্বিতীয় শিরোপায় দৃষ্টি শেখ রাসেলের

জাহিদুল আলম জয় ॥ বাংলাদেশের ফুটবলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আবির্ভাব ১৯৯৫ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ‘শেখ রাসেলে’র নামে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আবির্ভাবের পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবলের অন্যতম বড় দল শেখ রাসেল। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি। ধীরে ধীরে নিজেদের বড় দল হিসেবে উপস্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ রাসেল প্রথম বড় ট্রফি জয় করে ২০১২ সালে। সাত বছর আগে ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। ক্লাবটির ইতিহাসের ওই মৌসুম (২০১২-১৩) স্বর্ণসময়। কেননা এ পর্যন্ত জেতা তিনটি ট্রফিই এসেছে ওই সময়ে। অর্থাৎ এক মৌসুমে ঐতিহাসিক ট্রেবল জিতেছিল শেখ রাসেল। ফেডারেশন কাপ জয়ের পর ২০১২-১৩ মৌসুমে শেখ রাসেল জয় করে নেয় স্বাধীনতা কাপ ও প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা। এই তিনটি ট্রফিই এখন পর্যন্ত ক্লাবের সেরা অর্জন। দ্বিতীয়বার আর কোন আসরে ট্রফি জেতা হয়নি। এবার মৌসুমের দ্বিতীয় আসর স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি রাসেল। ফাইনারে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ১১তম আসরের। ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে এখন পাখির চোখ রাসেলের। এই আসরে একবার করে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া ক্লাবটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন বুনছে। এ লক্ষ্যে শেখ রাসেল অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে বেশ জোরেশোরে। গত আসরে মোটেও ভাল কাটেনি শেখ রাসেলের। ১২ দলের মধ্যে হয়েছিল ষষ্ঠ। কিন্তু এবার ১৩ দলের আসরে এক নম্বর হওয়া মূল লক্ষ্য কোচ সাইফুল বারী টিটু দলের। ২০১২-১৩ মৌসুমের স্বর্ণসাফল্য আর ফিরে আসেনি শেখ রাসেলের তাঁবুতে। তবে এবার ব্যর্থতা ঝেরে ফেলে লীগে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে নীল-সাদা জার্সিধারীরা। মৌসুমের শুরুটা মোটামুটি ভাল হওয়ায় আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে আশরাফুল রানা, ইয়াসিন খান, বিশ্বনাথ ঘোষ, বিপলু আহমেদদের। কেননা মৌসুমের প্রথম দুই টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপে সেমিফাইনালে ওঠার পর স্বাধীনতা কাপে রানার্সআপ হয় তারা। সা¤্রাজ্য ফিরে পেতে এবার রাসেল নতুন করে দল সাজিয়েছে। যে কারণে দলে নতুন ফুটবলারের ছড়াছড়ি। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম, ইয়াসিন খান, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়ামিন মুন্না, ফরোয়ার্ড বিপলু আহমেদসহ ১৭ জনকে দলে ভিড়িয়েছে শেখ রাসেল। তবে দল ছেড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু। বিদেশী ফুটবলার রাফায়েল ওডোয়িন এবারও জ্বলে উঠলে অন্য শিরোপাপ্রত্যাশী দলগুলোর মাথাব্যথার কারণ হতে পারে শেখ রাসেল। গতবার শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের হয়ে ১৫ গোল করেছিলেন এই নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড। শেখ রাসেলের অন্য তিন বিদেশী নাইজিরিয়ার ডিফেন্ডার আলিসন উদোকা, উজবেক ফরোয়ার্ড আজিজভ আলিসের ও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড আলেক্স রাফায়েল দ্য সিলভা। সবমিলিয়ে ব্যালেন্সড দল নিয়ে বেশ আশাবাদী রাসেল কোচ সাইফুল বারী টিটু। তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম দুই টুর্নামেন্টে আমরা খারাপ করিনি। লড়াই করে শেষের দিকে হার মেনেছি। তবে আশা করি, লীগে ভালো করতে পারবে দল। দেশী খেলোয়াড় ॥ আশরাফুল ইসলাম রানা, আরিফুল ইসলাম, রাশেদুল আলম মনি, ইয়াসিন খান, উত্তম কুমার বণিক, খালেকুরজামান, সোহেল রানা (মিডফিল্ডার), বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা (ডিফেন্ডার), নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, তরিকুল ইসলাম, ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী, ফজলে রাব্বি, রুমন হোসেন, আমিনুর রহমান সজীব, শাহেদুল আলম, মামুন খান, মোহাম্মদ ইলিয়াস, বিশ্বনাথ ঘোষ, সবুজ দাশ রঘু, মেজবাহউদ্দিন, সাজিদুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জামাল হোসেন, ফরহাদুজ্জামান বাবু ও সৈকত মাহমুদ মুন্না। বিদেশী খেলোয়াড় ॥ রাফায়েল ওডোয়িন, আলিসন উদোকা, আজিজভ আলিসের ও আলেক্স রাফায়েল দ্য সিলভা।
×