ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাক্ষর জালিয়াত চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

স্বাক্ষর জালিয়াত চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর নকলকারী সেই প্রতারক ও তার দুই সহযোগী অবশেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান ও এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) প্রধানের স্বাক্ষর জাল করার কথাও স্বীকার করেছে। তারা স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ইতোমধ্যেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথাও জানিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সিরিয়াস এ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াডের বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও এনএসআইয়ের প্রধানের স্বাক্ষর নকল করার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মূলহোতা হেলাল উদ্দিন (৫৫), পিতার নাম মৃত তরিকুল্লাহ, বাড়ি লক্ষীপুর সদর জেলার আব্দুল্লাহপুরের ভবানীপুর এলাকায়। তার দুই সহযোগী মোঃ এনামুল হক (৪৮)। পিতার নাম মৃত ইদ্রিস আলী। বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন কেশবপুর গ্রামে। অপরজন নাজমুল হাবিব (৫৪)। পিতার নাম মৃত আবু তালেব মিয়া। বাড়ি টাঙ্গাইল সদর থানাধীন বেপারীপাড়ায়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোগোযুক্ত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাল স্বাক্ষরের কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভুয়া ৫৪ হাজার কোটি টাকা থাকার যাচাইকৃত কপি ও প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে হেলালের বিভিন্ন মানহানিকর কথাবার্তার ভিডিও ক্লিপসহ নানা আলামত উদ্ধার হয়েছে। সেলিমুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে ৫৪ হাজার কোটি টাকা জমা আছে বলে গ্রেফতারকৃতরা টার্গেটকৃত প্রতারকদের জানাত। সেলিমুজ্জামান ফ্রান্সের এলসিএল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠায় বলে বলত। যা পুরোটাই মিথ্যা। গ্রেফতারকৃতরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে আগ্রহীদের টার্গেট করত। টার্গেটকৃতদের প্রধানমন্ত্রী সইসহ কার্যালয়ের প্যাডে ওই প্রকল্পের কাজের আদেশনামা দেখাত। সঙ্গে ৫৪ হাজার কোটির টাকার যাচাই কপি দেখাত। এভাবেই তারা ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয়ার ও সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত।
×