ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উনকে চিঠি দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

উনকে চিঠি দিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এটি জানা গেছে। এর আগে চলতি মাসের গোড়ার দিকে ট্রাম্প উনের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এর ফলে দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা জোরদার হলো। সিএনএন ও এপি। ট্রাম্প ও উন গত বছর ১২ সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠকটি করেন। তাতে কোরিয়া উপদ্বীপ পুরোপুরি পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন উন। তবে কখন কিভাবে এটি বাস্তবায়িত হবে তার কোন সময়সীমা তিনি দেননি। ট্রাম্প জানুয়ারির প্রথম দিকে উনের চিঠি পেয়ে তাকে এক ‘অসাধারণ চিঠি’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে অদূর ভবিষ্যতে তিনি উনের সঙ্গে ফের বৈঠকে মুখোমুখি হবেন। ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে চিঠিটি বিমানযোগে হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। উন সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি চাপ ও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখে, তবে উত্তর কোরিয়া তাদের নীতি বদলাবে। এমন হুমকির পর তিনি ট্রাম্পকে চিঠি দেন। অনেক দিন ধরে উনের সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠক হবে এমন কথা শোনা গেলেও তার কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে দূরত্ব কমে এলেও দেশটির ওপর থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি ওয়াশিংটন। এ অবস্থায় সম্প্রতি উত্তর কোরীয় নেতা উন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে এবং বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা হলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের নীতি থেকে সরে আসবে পিয়ংইয়ং। ১২ জুনের বৈঠকে উভয় দেশের শীর্ষনেতা যে চুক্তিতে উপনীত হন তা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। উত্তর কোরিয়ার সাবেক গোয়েন্দা প্রধান কিম ইয়ং চোল খুব শীঘ্রই সম্ভবত এক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন বলে জানা গেছে। তার এ সফরে ট্রাম্প ও উনের মধ্যে বৈঠকের পরবর্তী তারিখ ঠিক করা হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও উনের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়টি সমর্থন করেন। তিনি বলেন, এটি কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তির সম্ভাবনা আরও জোরালো করবে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টা সহজতর করতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি এবং ১৯৫০ থেকে ৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘোষণার মতো অনুরূপ বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। জানুয়ারির সপ্তাহে উন চীন সফর করেন। সেকথা উল্লেখ করে উন বরেন, ‘আমি মনে করি, উনের চীন সফর যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সম্মেলনের সফলতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’ মুন আশা প্রকাশ করেন দ্বিতীয় সম্মেলনে যেসব চুক্তি হবে তাতে উভয় পক্ষের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো আরও সুস্পষ্ট করা হবে। এদিকে মঙ্গলবার প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিবার্ষিক প্রতিরক্ষা প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়াকে শত্রু দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। যদিও পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
×