ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানবতার ডাকে তারুণ্যের ছুটে চলা

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

মানবতার ডাকে তারুণ্যের ছুটে চলা

‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। যুদ্ধ মানেই কি বন্দুকের ঝনঝনানি? না যুদ্ধ হতে পারে মানবতার যুদ্ধ, সমাজ রাষ্ট্রকে কিছু দেয়ার যুদ্ধ। কয়েকজন তরুণ একবার এক বৃদ্ধাশ্রমে গিয়েছিলেন। প্রবীণদের সঙ্গে এক বেলা সময় কাটানোই উদ্দেশ্য ছিল। বৃদ্ধাশ্রম থেকে বেরিয়ে সবাই যেন দারুণভাবে অনুভব করতে পারল এই সমাজের জন্য কিছু করা উচিত। মানবতার সেবায় তারপর নিয়োজিত করলেন নিজেদের। এভাবেই ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু ‘নিমসেবা ফাউন্ডেশন’ এর। ২০১৮ সালে পরিপূর্ণ ফাউন্ডেশন হিসেবে কাজ শুরু করে তারা। মানবতার কোন সীমা নেই। যেখানেই মানবতার আর্তনাদ শুনতে পেয়েছেন সেখানেই সাধ্যমতো হাজির হয়েছেন সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা এই তরুণরা। শিক্ষা, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে বর্তমানে নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে এই ফাউন্ডেশন। মেধাবীদের জন্য বৃত্তি এবং স্কুলে সর্বোচ্চ উপস্থিতির জন্য পুরস্কার প্রদান করছে তারা। শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতেই এই উদ্যোগ। অসচ্ছলদের হাতে পৌঁছানো হচ্ছে শিক্ষা উপকরণও। সামাজিক সচেতনতামূলক কাজের মধ্যে আছে রক্তদান, পরিবেশ রক্ষায় জনমত গঠন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণেও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দানে নয় কর্মসংস্থানেই অসচ্ছলতা দূর হবে বিশ্বাস এই ফাউন্ডেশনের। আর তাই মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতেই তাদের নানা উদ্যোগ। এছাড়াও বছরজুড়ে বস্ত্র সংগ্রহ কার্যক্রম চলে। সেলাই মেশিন, গবাদি পশু বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চলে বছরজুড়েই। তারুণ্যের এই উদ্যোগের মূল স্বপ্নদ্রষ্টা মোঃ নজরুল ইসলাম রোমান। সঙ্গে ছিলেন টুটুল, আহাদ, ইমাম, সামান্থা, অন্তরা এবং নুরউদ্দিন। বর্তমানে সারাদেশে তাদের স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ৩৩৮ জন। কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন জানতে চাইলে রোমান জানান, অনেক সংগঠনই অন্যদের প্রতিযোগী ভাবে। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে গেলে কোন প্রতিবন্ধকতাই থাকে না। ভবিষ্যতে তাদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আশাবাদী তিনি। এতিম এবং অসচ্ছল পরিবারের যুবকদের কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চান তারা। তরুণ প্রজন্মের এই মানবতার সেবায় সুন্দর হয়ে উঠুক বাংলাদেশ।
×