ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিল্পকলায় ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকের চার প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

শিল্পকলায় ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকের চার প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্পেস এ্যান্ড এ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টারের অন্যতম নতুন প্রযোজনা ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকের চারটি প্রদর্শনী হবে। ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকের সমন্বয়ক ওমর ফারুক জানান, আগামী ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭-৪০ মিনিট এবং রাত ৮টা থেকে ৮-৪০ মিনিটে দুটি করে দুইদিন মোট চারটি প্রদর্শনী হবে। ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের অন্যতম মেধাবী নির্দেশক আশিষ খন্দকার। নাটকটি মঞ্চ এবং মঞ্চের বাইরেও প্রদর্শনী করার উপযোগী করে নির্মাণ করেছেন আশিষ খন্দকার। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন মিতা মণি, মোস্তাক আহমেদ, দৃক আরেফিন, ওমর ফারুক, সাইদি হাসান রাব্বি, গুরু ভট্ট। নাটকের মিউজিক করেছেন আবির মজুমদার। আলো এবং সেট ডিজাইন করেছেন আশীষ খন্দকার। ‘দুই আগন্তুক বনাম করবী ফুল’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে অনেক অনেক দিন আগের কথা, দুই আগন্তুক সন্ধান করছিল তাদের নিরুদ্দেশ বাবাকে। আগন্তুকদ্বয় রাজ্য ছাড়া হয়েছিল প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে। মৃত্যুভয়ে তারা পথে পথে পালিয়ে ফিরছিল। একটি ঐন্দ্রজালিক আয়না তাদের অনুসরণ করছিল। তারা জাদুকরীভাবে আবিষ্কার করছিল পৃথিবীর রহস্যগুলো। বহু বছর পৃথিবীর পথ থেকে পথে তারা তাদের নিরুদ্দেশ বাবার সন্ধান করে ফিরে, এক সময় তারা স্থান, কাল অতিক্রম করে। পুরনো পৃথিবীর দুর্গম পথে তাদের কে তাড়া করে বেড়ায় অজনা শঙ্কা আর অনিশ্চয়তা। রোগ-শোকে ভোগে তাদের চেহারা জামা-কাপড় সবকিছুতে তামাটে রং লেগেছে। তবুও ফেরার কোন উপায় নাই, সৎমার ঐন্দ্রিজালিক ক্ষমতাবলে আয়নায় দেখতে পায় তারা কি করছে, আদেশের অন্যথা হলে নিশ্চিত মৃত্যু। কনিষ্ঠ আগন্তুক সব রকমের আগ্রহ হারিয়েছে, খোলা আকাশের নিচে খাদ্য সঙ্কট, অনিশ্চয়তাকে সে বিদায় জানাতে চায় চিরতরে, সে তার পথে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু জ্যেষ্ঠ আগন্তুক কিছুতেই তা হতে দিতে চায় না, সে তাদের জীবনের লক্ষ্য পূরণ করে থামতে চায়, ফলে তাদের মধ্যে তৈরি হয় অবিশ্বাস, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কলহ। এইভাবে পথে চলতে চলতে, তারা একদিন শেষ বিকেলে এসে তাম্র শহরের অদূরে এক জনমানব শূন্য পাহাড়-সাগরে ঘেরা বাগানে আশ্রয় গ্রহণ করে। তারা ওই ত্রিমুখী শহরে ঢুকতে চায়, যেখানে থেকে তারা তাদের প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করবে, কিন্তু অন্ধকার না হলে ওই শহরে প্রবেশ করা যাবে না, কারণ এটা সাধারণ কোন শহর নয়। ইতোমধ্যে তারা জানতে পারে যে, তার সীমা অতিক্রম করে এক অসীম জগতে ঢুকে পড়েছে। এমন সময় তারা একটি পরিত্যক্ত জাহাজ দেখতে পায়, এই জাহাজের পাহারাদার পরিচয়দানকারী এক মামুলি রহস্যময় বিজ্ঞ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। তার কাছ থেকে জানতে পারে দক্ষিণায়নে তাদের চরম কাক্সিক্ষত করবী ফুলের কথা, তারা বিশ্বাস করে এই ফুলের রস পানে পুনর্জনম হয়। জানতে পারে জীবনের এক নির্মম সত্য, তাদের নিরুদ্দেশ বাবা আসলে মৃত। মামুলি ইনসানের সরাইখানায় তারা সাক্ষাত পায় এক রহস্যময় রমনী বান্দ্রার, গভীর বনের কাঠুরিয়ার মেয়ে। যে সরাইখানায় পবিত্র জল নিয়ে আসে রোজ দূর থেকে। কনিষ্ঠ আগন্তুক রহস্য রমনীর রমনে বাঁধা পড়ে। অবশেষে দুই আগন্তুক আর বান্দ্রা মিলে শহরের উদ্দেশে যাত্রা করে চাবি নিয়ে। যে চাবি দিয়ে তাদের কাছে থাকা বাক্সের তালা খোলা যাবে, যার ভেতরে আছে পূর্বপুরুষের আংটি যেটা দেখালে তাম্র শহরের দরজা তাদের জন্য খুলবে এবং তারা বসবাস করবে। কিন্তু তাদের বহনকৃত চাবিটা আসলে নকল, আসল চাবিটা থেকে যায় মামুলি ইনসানের কাছে।
×