ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৮ জানুয়ারির মধ্যে নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারি ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

২৮ জানুয়ারির মধ্যে নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারি ॥ তথ্যমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুসারে সাংবাদিকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সৌজন্য সাক্ষাত এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ওয়েবসাইটের। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৮ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট হতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যা যা করণীয় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এমনকি আওয়ামী লীগের ইশতেহারে উল্লেখ ছিল সাংবাদিক আবাসনের ব্যবস্থা। মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব। সারাজীবন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখেছে এমন সাংবাদিকও তাদের প্রয়োজনের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পেয়েছেন, ভবিষ্যতেও পাবেন।’ তিআরও বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি মনে করি আমার প্রধান কাজ সাংবাদিক বন্ধুদের কল্যাণ সাধন করা। বাংলাদেশে অনেক ভাল সংবাদমাধ্যম প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম নানা কারণে বন্ধের পথে, সে গুলোকে কিভাবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হবে। যাতে ভাল সংবাদমাধ্যম টিকে থাকে, হারিয়ে না যায় সেজন্য আলোচনা হচ্ছে।’ তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সাংবাদকদের সঙ্গে কথা বলা দাকরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের কল্যাণে ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের জনগণের কল্যাণের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি সেজন্য আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পেছনে সাংবাদিকদের অবদান অনেক। এছাড়া এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর আপনাদের সহযোগিতা আরও বেচাই।’ হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব সাংবাদিক চেষ্টা করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে কিন্তু দু-একজনের ভুলের জন্য সবগুলো কমিউনিটির বদনাম হতে পারে না। সেজন্য আমি মনে করি, সাংবাদিক ইউনিয়নের দায়িত্ব কম নয়।’ রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম উল্লেখ করে তিবলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যদি রাষ্ট্রের উন্নতিকরণের কাজ না হয় তাহলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং আপনাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই মূল লক্ষ্য আমাদের। আপনাদের যদি কোন অভাব অথবা অভিযোগ থাকে আমাকে সরাসরি বলবেন। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমার অন্যতম দায়িত্ব হলো সাংবাদিকদের কল্যাণ করা এবং যে কোন দেশের উন্নয়নের জন্য সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রয়োজন যা প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে আরও কিছু করার থাকলে যা যা করণীয় তা করা হবে।’ তিআরও বলেন, ‘আমাদের সবার সচেতন হতে হবে যেন রাষ্ট্রের কল্যাণ হয়। কিন্তু অবশ্যই সমালোচনা হবে, দায়িত্ব থাকলে সমালোচনা হবে। কিন্তু সেই সমালোচনা যেন গঠনমূলক হয় সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে সবাইকে।’ বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালালের সভাপত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসশাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সহ-সভাপখন্দকার মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন এবং জনকণ্ঠের ডেপুটি ইউনিটসহ অনেকে।
×