ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ দিনের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা

ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে আজ থেকে মাঠে নামছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

ঢাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে আজ থেকে মাঠে নামছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা মহানগরীতে চতুর্থবারের মতো মাঠে নামছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে তারা। ডিএমপি সূত্র জানায়, ১৫ দিনব্যাপী ট্রাফিক আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করবেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও বাংলাদেশ গার্ল গাইডের সদস্যরা। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের নেয়া ট্রাফিক সপ্তাহ, ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ ও ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালনের মাধ্যমে ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়ন হচ্ছে। পাশাপাশি এ কার্যক্রমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ঢাকা শহরের ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে। তিনি জানান, সাধারণ জনগণ ও চালকদের ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি, অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সুবিধাসহ আরও কিছু কারণে ঢাকায় রাতারাতি ট্রাফিক শৃঙ্খলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতার ফলে ঢাকা শহরে ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। সেজন্য চতুর্থবারের মতো ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আর এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৫ দিনের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম সফল করার জন্য নগরবাসীকে সহযোগিতার অনুরোধও জানান ডিএমপি কমিশনার। ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নয়নে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে ॥ ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন। রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সঙ্গে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং/রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান/স্থাপনের ব্যবস্থা করা। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল-কলেজের ক্লাস শুরু, ছুটির সময়ে ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা। হাইড্রোলিক হর্ন, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়া গতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট পরিধানসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সকল সময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ। জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে স্টপ (ঝঃড়ঢ়) লাইন বরাবর গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। বামলেন ঘেঁষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা নিশ্চিত করা। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। ইতোপূর্বে মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমানবন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরান হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশনে রিমোট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা। ফার্মগেট হতে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
×