ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আরেকটি গণভোটের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

আরেকটি গণভোটের প্রস্তুতি

ব্রিটেনে সিনিয়র এমপিরা চলতি সপ্তাতে ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরেকটি গণভোট আয়োজনের জন্য তৈরি হচ্ছেন। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তার বহুল আলোচিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ওপর ভোটগ্রহণ হবে। কেউ কেউ বলছেন ২শ’য়ের বেশি ভোটের ব্যবধানে এ পরিকল্পনাটি বাতিল হতে পারে। এই অবস্থায় দ্বিতীয় গণভোটের ভাবতে শুরু করেছেন সিনিয়র এমপিরা। ইন্ডেপেন্ডেন্ট। পার্লামেন্টের ভোটে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে হেরে যাবেন এটি এখন মোটামুটি নিশ্চিত। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ, লেবার, লিবারেল ডেমোক্র্যাট এবং এসএনপি ব্রেক্সিট ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। গণভোটের আইনগত রূপরেখা ঠিক করা এবং ব্যালটে কি লেখা হবে তা নির্ধারণের জন্য তারা এখন দুটো বিল নিয়ে কাজ করছেন। বিলগুলো বুধবার দিনের প্রথম দিকে উপস্থাপন করা হতে পারে। এদিকে এমপিরা যেন মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করেন সে উদ্দেশে তিনি ভোটের অল্প সময় বাকি থাকতে তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া আটকে দিতে পারে। বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন চাইছেন ব্রেক্সিট ভোটে মে হেরে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দ্রুত আগাম সাধারণ নির্বাচন দেয়া হোক। ব্রেক্সিট মন্ত্রী স্টেফেন বার্কলে এমপিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন বলেছেন, ব্রেক্সিটের ব্যাপারে পর্লামেন্টে হতাশা বাড়ছে। পেছনের সারির এমপিরা এখন কমন্স সভার নিয়ম পাল্টানোর চেষ্টা করছেন। পরিবহনমন্ত্রী ক্রিস গ্রে লিং স্বীকার করেছেন, নো ডিল ব্রেক্সিটের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সরকারের দফতরগুলোতে সেনা সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজর বলেছেন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করার আগে জনগণকে চূড়ান্ত মত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হোক। চুক্তি হোক বা না হোক ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া আপনা থেকে সম্পন্ন হবে। এর আগে শোনা গিয়েছিল আর্টিকেল ৫০ সম্প্রসারণের সম্ভবনা আছে। আর্টিকেল ৫০ ইইউ জোট থেকে এর কোন সদস্য বেরিয়ে যাওয়ার নিয়মগুলো বলা হয়েছে। শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটি সরকারের নীতি নয়’। মে রবিবার সানডে এক্সপ্রেস পত্রিকায় লিখেছেন, ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় সমর্থন হবে বর্তমান এমপিদের জন্য এক প্রজন্মের মধ্যে নেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সোমবার ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থার মুখে বিভিন্ন দলের এমপিদের পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। হাউস অব কমন্সের সাবেক ক্লার্ক লর্ড লিসভানও এমপিদের ওই গ্রুপটির সঙ্গে আছেন। কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী সদস্য ডোমিনিক গ্রিভ এই উদ্যোগ সরকারের জন্য সম্মানজনকভাবে প্রস্থানের একটি সুযোগ করে দিচ্ছে। কারণ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পাস করানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা মে’র নেই। সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘এই বিল বৈধভাবে সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার পথ তৈরি করবে’। পার্লামেন্টে মে’র পরিকল্পনা ভোট শেষ হওয়ার পর বিলগুলো উপস্থাপন করা হবে। এতে মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনের আগেই দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মে’র মন্ত্রিসভার কোন কোন সদস্য এখন প্রকাশ্যেই বলছেন তারা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বানচাল করতে চান। লেবার পার্টির একজন সদস্য বলেছেন, ‘প্রথম গণভোটে যাই বলা হোক না কেন এই ইস্যুতে জনগণের চূড়ান্ত মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন, সরকারের উচিত হবে না একটি ব্যর্থ ভোটাভুটির জন্য সময় নষ্ট না করে জনগণের চাওয়ার দিকে দৃষ্টি দেয়া।
×