ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অদ্ভুত শাস্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

 অদ্ভুত শাস্তি

বয়স ২৫ পেরিয়ে গেছে অথচ এখনও অবিবাহিত। এমন ব্যক্তির জন্য ডেনমার্কে অদ্ভুত একটি প্রথা চালু রয়েছে। কারও বয়স ২৫ হওয়ার পরও সিঙ্গেল বা একা থাকলে তাদের জন্মদিনে সারা গায়ে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয়া হয়। অনেকে পানিও ছিটিয়ে দেন, যাতে দারুচিনির গুঁড়ো গায়ে লেপ্টে থাকে। এটা করতে কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই। কেন? যেন মনে করিয়ে দেয়া, এবার বিয়ের বয়স হয়েছে। ফলে কারও সঙ্গে ঘর বাঁধো। ঘটনাটা কী? কথিত আছে, এমন প্রথার শুরুটা হয়েছিল বহু শতক আগে। মসলা বিক্রির জন্য যেসব সেলসম্যান ঘুরে বেড়াতেন চারপাশে তাদের পক্ষে ঘরসংসার পাতা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। কোন এক জায়গায় স্থির হতে পারতেন না। এমন অবিবাহিত সেলসম্যানদের ‘পেপার ডুডস’ বলা হতো। অবিবাহিতাদের ‘পেপার মেইডেন’ নামে ডাকা হতো। ‘পেপার ডুডস’ বা ‘পেপার মেইডেন’দের পথে যাতে ডেনমার্কের তরুণ প্রজন্ম না হাঁটেন, সে জন্যই এই প্রথার উৎস। যেসব সিঙ্গেলের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে অথচ সংসারহীন তাদের গায়ে দারুচিনির গুঁড়ো ছিটানো হয়। তবে তিরিশের কোটা পেরোলে তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তখন মরিচের গুঁড়ো ছিটানো হয় তাদের শরীরে। শুধু কি মরিচের গুঁড়ো, তার সঙ্গে ডিমও ছোড়া হয়; যাতে ডিমের সঙ্গে মাখামাখি হয়ে সারা দেহে মরিচের গুঁড়ো আটকে থাকে। এমনটা করার মধ্য দিয়েই তাদের ২৫ বছর বয়সের আগেই যেন ঘর বাঁধার বিষয়ে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা হয়। তবে আবার এটাও ভাবা যাবে না যে, ডেনমার্কের সবাই ২৫ বছর বয়সেই বিয়ে করে বসেন। বরং উল্টোটা। সে দেশে পুরুষদের বিয়ের বয়স গড়ে সাড়ে ৩৪। অন্যদিকে নারীরা গড়ে ৩২ বছর বয়সে বিয়ে করেন। -ওয়েবসাইট
×