ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের বন্ড মার্কেটের দুর্বলতা কোনক্রমে কাটছে না

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

 দেশের বন্ড মার্কেটের দুর্বলতা কোনক্রমে কাটছে না

অপূর্ব কুমার ॥ চীন, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত অনেক দেশ বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে। কিন্তু বাংলাদেশে এর উল্টো চিত্র। দুর্বল বন্ড মার্কেটের কারণে ব্যাংকগুলো আমানত ছাড়া অন্য কোন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না। বন্ড ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে কর্পোরেট সেক্টর বন্ড মার্কেটের পরিবর্তে পুরোপুরি ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে ব্যাংক খাতের ওপর চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে শেয়ারবজারে তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ডগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও কোন লেনদেন হচ্ছে না। সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে সর্বশেষ অর্থ সংগ্রহ করেছে। তবে পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের সভরেন বন্ড ছাড়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সরে আসে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রাইমারি ডিলার (পিডি) ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, পর্যাপ্ত সেকেন্ডারি মার্কেট না থাকায় সরকারী বিল ও বন্ডের বেচাকেনা হচ্ছে না। এসব বন্ড ও বিলের ক্রেতা মূলত সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ট্রাস্ট এ্যাক্ট ও কোম্পানি এ্যাক্ট অনুযায়ী সরকারী প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বন্ডে বিনিয়োগ করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এ ছাড়া সেকেন্ডারি মার্কেটের বিকাশে অন্যতম শর্ত পেনশন ফান্ডের টাকাও বন্ডে বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা আরোপে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এজন্য সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা। একাধিক ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ড বন্ডে বিনিয়োগ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেনশন তহবিল এখনও নন-ফান্ডেড থাকায় বিশাল অঙ্কের এ তহবিল বন্ডে বিনিয়োগ হচ্ছে না। অথচ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পেনশন তহবিল ফান্ডেড। পেনশন তহবিল বন্ডে বিনিয়োগ নিশ্চিত করার ফলে সেসব দেশের সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট বিকশিত হয়েছে। আর ব্যাংকগুলোও পাচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ট্রেজারি কর্মকর্তারা মনে করেন, বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিলেই সরকারের দায়িত্ব শেষ হয় না। বন্ডগুলোর কেনাবেচা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও সরকারকেই নিতে হবে। নানা রকম বন্ড ও বিলের ছড়াছড়ি আর সে তুলনায় ব্যাংকের চেয়ে কম মুনাফা, এসব কারণেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বন্ড মার্কেটে আগ্রহী হচ্ছেন না বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারী ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন আট বছরেও হয়নি। ২২১টি বন্ডের পরিশোধিত মূলধন ৫৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট বাজার মূলধনের ২২.৫০ শতাংশ। বর্তমানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আর বিশাল এই খাতের লেনদেনের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেই। তবে লেনদেন না হওয়ার জন্য কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই। একই সঙ্গে মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রায় ১৫টি বন্ড তালিকাচ্যুত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের তালিকাচ্যুত হওয়ার সময় হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না পাওয়ায় তাদের তালিকাচ্যুত করা যাচ্ছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বন্ড খুবই সম্ভাবনাময় একটি পণ্য। বাংলাদেশের অর্থনীতি যে হারে বড় হচ্ছে সে গতি ধরে রাখতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিশেষ করে অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য বড় ও দীর্ঘমেয়াদী তহবিল দরকার। শুধু ব্যাংক অর্থায়নের মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ করা যাবে না। তাছাড়া ব্যাংকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন বেশ ঝুঁকিপূর্ণও বটে। বন্ডের মাধ্যমে সহজেই এ ধরনের অর্থায়ন করা যায়। তবে বন্ডের সমস্যা হলো আর্থিকভাবে অনেক সক্ষম বিনিয়োগকারী এখানে আসতে চায় না। কারণ বন্ড কিনলে ৮ থেকে ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ আটকে যায়। বন্ড অবসায়িত না হওয়া পর্যন্ত পুরো বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া যায় না। আর বিনিয়োগকারী নমনীয়তা চায়। বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কতটা সহজ সুযোগ আছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায়। বন্ডের একটি কার্যকর সেকেন্ডারি মার্কেট থাকলে হয়ত এ সমস্যা থাকত না। তাই বন্ড মার্কেটকে কার্যকর করতে হবে। এজন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, কথার কথা বললেই হবে না। সম্প্রতি বিআইবিএম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বন্ড মার্কেটের বিদ্যমান নানা ধরনের অসঙ্গতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রিফর্মস এ্যাডভাইজার এসকে সুর চৌধুরী বলেন, অসঙ্গতি আছে, থাকবে। এর মধ্য দিয়েই কিভাবে মার্কেট ডেভেলপমেন্ট করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে। উদ্ভাবনী দিক খুঁজে বের করতে হবে। এখানে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করা। বন্ড খেলাপীদের তালিকা সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। এটা করতে গেলে সিআইবি নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য আমরা গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছি। সম্পদ ব্যবস্থাপকরা বলছেন, পুঁজিবাজারকে বিকশিত করতে হলে এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে হবে। আমাদের বাজারে প্রোডাক্টের ভিন্নতা নেই। এটি মূলত শেয়ারবাজার (যেখানে শেয়ার লেনদেন হয়) এখানে অন্য প্রোডাক্ট নেই বললেই চলে। শেয়ারের বাইরে কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়, তাও খুব কম। আর বন্ড ও ডিবেঞ্চারে একেবারেই লেনদেন নেই। এগুলো শুধু তালিকাভুক্তিতেই সীমাবদ্ধ। তাই বন্ড ও ডিবেঞ্চার তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ডিএসইর বাজার মূলধনের আকার বড় হওয়া ছাড়া কোন কাজই হচ্ছে না। মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, আমাদের পুঁজিবাজার এশিয়ার বাজারগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি লাভজনক। তাই এখানে বিনিয়োগকারীরা আসতে শুরু করেছেন। এ অবস্থায় ভাল কোম্পানির শেয়ারের সরবরাহ ও প্রোডাক্টের ভিন্নতা আনতে হবে। ভাল প্রোডাক্ট না থাকলে বেশি বিনিয়োগকারী এখানে আনা যাবে না। যারা আসবে তারাও বেশিদিন থাকবে না। তাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বাজারে ভাল কোম্পানির শেয়ার আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট সচল করা ও চালু করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। জানা গেছে, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মাত্র তিনটি কর্পোরেট বন্ড ও ১৪টি ডিবেঞ্চার ইস্যু করা হয়েছে। বন্ডগুলোর স্থিতি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) মাত্র ০.২ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো ১৯ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার মোট ৫৭টি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যু করেছে। বন্ড ॥ শেয়ারবাজারে বন্ডকে ডেবট বা ঋণ সিকিউরিটিজ বলা হয়। অর্থাৎ জনগণের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদে, নির্দিষ্ট সুদে সরকার যে টাকা ধার নেয় তাকে বন্ড বলে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সুদসহ সরকার আবার অর্থ ফেরত দেয়। আর সেকেন্ডারি মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জনগণ চাইলে বন্ড বিক্রি করে টাকা নিতে পারে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে এখনও বন্ড মার্কেট বিকশিত হয়নি। সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ॥ বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণপত্র। এই ঋণপত্র ছেড়ে ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। পরিশোধের দিক থেকে কোম্পানির ঋণদাতাদের মধ্যে সবার নিচে এই বন্ডধারীদের অবস্থান বলে এটাকে সাব-অর্ডিনেটেড (ঝুঁকিপূর্ণ) বন্ড বলে। সভরেন বন্ড ॥ সভরেন বন্ড একটি বিশেষ ধরনের বন্ড, যা আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বিক্রি হয়। সাধারণত দেশের বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে এ ধরনের বন্ড ইস্যু করা হয়। সরকারী বন্ডের সঙ্গে এর পার্থক্য হলো- সরকারী বন্ড দেশের অভ্যন্তরে টাকায় কেনাবেচা হয়। আর সভরেন বন্ড বৈদেশিক মুদ্রায় আন্তর্জাতিক বাজারে কেনাবেচা হয়। কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দেশ ও আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এর ক্রেতা হতে পারে। বন্ডের সর্বশেষ ॥ ২০০৫ সালে ডিএসইতে সরকারী ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ তালিকাভুক্তির কার্যক্রম শেষ হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। আর বর্তমানে বাজারে মোট ৪ মেয়াদের বন্ড রয়েছে- ৫ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর এবং ২০ বছর। ট্রেজারি বন্ডের প্রত্যেকটিরই অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন লেনদেন হয়নি। এমনকি ডিএসইর ওয়েবসাইটেও এসব বন্ডের তেমন কোন তথ্য নেই। তবে এর বাইরেও তিনটি কর্পোরেট বন্ড রয়েছে। ডিএসইর মূল্যায়ন ॥ বন্ডের লেনদেন নিয়ে ইতোমধ্যে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ডিএসই। পর্যবেক্ষণে লেনদেন না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সবচেয়ে বড় কারণ হলো অথোরাইজ ডিলাররা (এডি) এসব বন্ডের লেনদেনের জন্য প্রস্তাব করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হলেও শুধু প্রাইমারি ডিলাররা এতে অংশ নেয়। এছাড়া বন্ডের লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। যাকে মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মডিউল বা এমআইএম বলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মতে, ২২১টি বন্ডের মধ্যে প্রত্যেকটির অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা। তবে অভিহিত মূল্য ১০ হাজার টাকায় নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। ডিএসইর মতে, সেকেন্ডারি মার্কেট লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠানের একটি ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা আইএসআইএন রয়েছে। কিন্তু বন্ডের ক্ষেত্রে এই নম্বর সিডিবিএল সংরক্ষণ করছে। ফলে চাইলেও সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন করা যায় না। অন্যদিকে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো বন্ডের কমিশন একই রকম। আর ডেবট সিকিউরিটিজের এ কমিশন অত্যন্ত বেশি। এছাড়া বন্ডের ব্যাপারে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর ধারণা নেই। তাদের মতে, বন্ডের বিকাশের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে যোগাযোগে ব্যাপক দূরত্ব রয়েছে। বাজারবান্ধব পলিসির অভাব এবং উন্নত প্রযুক্তির অভাবে বন্ডকে সেভাবে বিনিয়োগকারীদের কাছে উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের দেশে মার্কেটের সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। বন্ডের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি ভূমিকা আছে। এজন্য এ খাতে কর মওকুফের যদি সুবিধা দেয়া হয়, সেটি ভাল হবে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান বলেন, একটি উন্নত ও কার্যকর বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা করতে ডিএসই কাজ করে যাচ্ছে। নতুন বছরের বাজেটে প্রণোদনা পাওয়া সাপেক্ষে বন্ড মার্কেটও শীঘ্রই চালু করা সম্ভব হবে। ঢাকা ব্রোর্কার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রিজভী জনকন্ঠকে বলেন, উন্নত বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে হবে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ থেকে বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বন্ড মার্কেট বিকল্প পনণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে বন্ডের প্রচলন তেমন নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের বন্ড বাজার নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে হবে।
×