ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গামাটিতে ৮৪ ঘর ছাই

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

  রাঙ্গামাটিতে ৮৪ ঘর ছাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৩ জানুয়ারি ॥ রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা রিজার্ভ বাজারের কলি শঙ্কর পাহাড়ে এক অগ্নিকা-ে ৮৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে। রবিবার সকাল পৌনে ৯টার সময় আগুন লাগে। বাবুলের ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে এলাকাবাসী জানায়। ঘরে ওই সময়ে পরিবারের কেউ না থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এলাকর সব ঘর কাঠের ও টিনের হওয়ার কারণে আগুন প্রকট আকার ধারণ করে। খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, কাপ্তাই উপজেলার ৩টি ইউনিট ও কাউখালি উপজেলার দুটি ইউনিটসহ মোট নয়টি ইউনিট, এলাকাবাসী, পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোলায় ৩৫ দোকান নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, ইলিশা জংশন বাজারে এক অগ্নিকান্ডে প্রায় ৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩/৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন। শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারের উত্তর বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস টিম প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে আগুন লাগার পর পর প্রায় ঘণ্টা ধরে গ্রামীণ ফোনসহ কয়েকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জংশন বাজারের উত্তর বাজারের আমিরের ওয়ার্কশপের দোকানে শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় । এর পর একটি তৈল ও সিলিন্ডার গ্যাসের দোকানে আগুন লেগে গেলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মুদি দোকান, ২টি টিভির শোরুম, ৩টি ইলেকট্রনিক্স দোকান, ৩টি মোবাইলের শোরুম, ২টি হার্ডওয়্যারের দোকান, ২টি সার-কীটনাশকের দোকান, হোটেলসহ প্রায় ৩৫টি দোকান ও দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৪/৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হচ্ছে নুরনবী, কবির, দুলাল, ইউসুব, সহিদ, রফিক, ফিরোজ বুলাই, ভুট্রু, নুরুউদ্দিন। সাতক্ষীরায় ৭ দোকান স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকায় গ্যাসসিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে সাতটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। রবিবার সকালে ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন লক্ষিদাড়ি উদয়ন সংঘের পূর্ব পাশে আজিজুরের ভাজার দোকার এই অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। এ সময় তার পাশের দোকানগুলো বন্ধ ছিল। স্থানীয়রা জানান, সকালে লক্ষিদাড়ি উদয়ন সংঘের পূর্ব পাশে আজিজুরের ভাজার দোকানের পরেটা তৈরি করার সময় হঠাৎ অসাবধানবশত গ্যাসের চুলা থেকে পাইপে আগুন লাগে এরপর গ্যাসসিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর দ্রুত আগুন তার দোকানসহ পাশের মাসুম ক্লথ স্টোর, আলাউদ্দীন স্টোর, কয়েকটি ফলের দোকানসহ মোট সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মাদারীপুরে ১৫ দোকান নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, শিবচরর উপজেলার কুতুবপুর বাজারে শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৫ দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি । জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকা-ে কুতুবপুর বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ১৫ দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। এতে মজিবর রহমান হাওলাদারের চালের দোকান, রুহুল আমিন ব্যাপারীর হার্ডওয়্যারের দোকান, লুৎফর রহমান ফকিরের কসমেটিকসের দোকান, বাশার ফকিরের কম্পিউটারের দোকান, বাদশা মিয়ার স্টুডিও, কাদির মোল্যার হার্ডওয়্যারের দোকান, জসিম ফকিরের লেপ-তোশকের দোকানসহ ইব্রাহিম শিকদার ও কিনু মিয়ার দোকান। কিনু মিয়ার ব্যাটারি চার্জের দোকান থেকে বৈদুতিক শর্টসার্কিটে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
×