ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাজীগঞ্জে কুমড়া ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ॥ দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

 হাজীগঞ্জে কুমড়া ক্ষেতে পোকার আক্রমণ ॥ দিশেহারা কৃষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ১৩ জানুয়ারি ॥ হাজীগঞ্জ উপজেলায় একযুগের বেশি সময়ে বর্ষা মৌসুমের পরে কৃষি জমিতে কুমড়া আবাদ করে আসছেন এলাকার শতাধিক কৃষক। কুমড়া আবাদ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এই আবাদ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু চলতি বছর পোকার আক্রমণ হওয়ায় অনেক কুমড়া জমিতে পচে যায় এবং কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হিসেবে কৃষকরা কৃষি কর্মকর্তাদের বার বার বলা সত্ত্বেও তাদের সহযোগিতা না পেয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। শনিবার বিকেলে জেলার হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বলাখাল দক্ষিণ গ্রাম ও বাকিলা ইউনিয়নের মাঠগুলোতে এসব দৃশ্য দেখা যায়। জানা যায়, সদর ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় অধিকাংশ ইউনিয়নে কুমড়া আবাদ হয়। এ বছর এ দুই উপজেলাসহ জেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে কুমড়ার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ৫০০ টন। আর হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন হয়েছে ২৫ মেট্রিক টন। বলাখাল এলাকার কৃষিক অহিদুর রহমান জানান, আবহাওয়া ভাল থাকায় এ বছর উৎপাদন আরও বৃদ্ধি হওয়ার কথা থাকলেও পোকার আক্রমণে জমিতেই অধিকাংশ কুমড়া পচন হয়েছে। যার ফলে আমরা কুমড়াগুলো বিক্রি করতে পারিনি। অন্য বছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব কুমড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে রফতানি করা হয়েছে। কিন্তু এ বছর অন্য জেলায় রফতানি করতে না পেরে স্থানীয় বাজারগুলোতেই কুমড়া বিক্রি করতে হয়েছে। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ অফিসার নোয়াখেরুল ইসলাম জানান, কুমড়ায় পোকার আক্রমণ কিছু কিছু এলাকার কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি। কৃষি কর্মকর্তারা সব সময়ই কৃষকদের পরামর্শ দেন। যদি কোন কর্মকর্তা তাদের দায়িত্ব অবহেলা করে, তাহলে ব্যবস্থা নেবেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছি এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। চাঁদপুরের জনপ্রিয় এ কুমড়া আবাদের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধান বাড়ালে এবং সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ দিলে লোকসানে পড়বে না কৃষক। স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করতে পারবে দেশের অন্যান্য জেলায় এমন অভিমত অধিকাংশ কৃষকের।
×