ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডরিন পাওয়ারের ৬ কোটি শেয়ার লেনদেনযোগ্য হচ্ছে আজ

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

ডরিন পাওয়ারের ৬ কোটি শেয়ার লেনদেনযোগ্য হচ্ছে আজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড সিস্টেমসের উদ্যোক্তা পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডারের ৩ বছরের লক-ইন থাকা মোট ৬ কোটি শেয়ারের লক-ইন ফ্রি (লেনদেনযোগ্য) হচ্ছে আজ রবিবার। ৫ জন উদ্যোক্তা পরিচালক এবং ৪ জন শেয়ারহোল্ডারের কাছে মোট ৬ কোটি শেয়ার লক-ইন রয়েছে। এই শেয়ার (৩০ শতাংশ বাদে বাকি শেয়ার) চাইলে নির্ধারিত আইন পরিপালন করে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। যদিও লক-ইন ফ্রি শেয়ার বিক্রি করা কিংবা না করা, উদ্যোক্তা পরিচালকদের অনুমোদন বা সিদ্ধান্তের আবার এই শেয়ার বিক্রি করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ঘোষণা দিতে হয়। (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা ১৯৯৫-এর বিধি-৪-এর উপবিধি ২ এবং সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১২ পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থাকছে না এখন কোম্পানিটির ক্ষেত্রে। কারণ কোম্পানিটি ইতোমধ্যে সমাপ্ত হিসাব বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ডোরিন পাওয়ারের প্রসপেক্টাস ইস্যু করা হয়। আর প্রসপেক্টাস ইস্যু থেকে ৩ বছর লক-ইন ছিল কোম্পানির ৬ কোটি শেয়ার। ২০১৫ সালের ৩০ নবেম্বর কোম্পানিটিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১৯ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৯ টাকা মূল্যে শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয় কমিশন। সংগৃহীত টাকা দিয়ে ২টি সহযোগী কোম্পানির পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর কাজে ব্যয় করে ডোরিন পাওয়ার। ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪০ টাকা ৩৪ পয়সা। আর (জুলাই-সেপ্টেম্বর,১৮) প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় হয় ২ টাকা ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৩৫ পয়সা। ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭২ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে দশমিক ৭ শতাংশ আর ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
×