ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেভিতোভার সিডনি জয়

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

  কেভিতোভার সিডনি জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পারলেন না এ্যাশলে বার্টি। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ পেলেন না অস্ট্রেলিয়ার এ টেনিস তারকা। শনিবার সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভার কাছে হেরে যান তিনি। টুর্নামেন্টের ফেবারিট এ্যাশলে বার্টিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সিডনির শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন পেত্রা কেভিতোভা। ফাইনালে চেক তারকা এদিন প্রথম সেট হেরে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-৬, ৭-৫ এবং ৭-৬ (৩) গেমে পরাজিত করেন এ্যাশলে বার্টিকে। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সিডনি ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কেভিতোভা। এর পরের তিন বছর আর নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি এই টুর্নামেন্টে। তবে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন তিনি। দুর্দান্ত খেলেই সিডনিতে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন পঞ্চম বাছাই। টেনিসপ্রেমীরাও রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল দেখার সুযোগ পান এদিন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ১৯ মিনিট লড়াই করার পর শিরোপার হাসি পান চেক তারকা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করে দারুণ রোমাঞ্চিত পেত্রা কেভিতোভা। এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বললে অসাধারণ একটা ফাইনাল খেললাম আজ। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। আসলে ফাইনাল ম্যাচ এ রকমই হওয়া উচিত।’ সিডনির শুরুতেই চমকে দিয়েছিলেন কেভিতোভা। দুর্দান্ত গতিতে ছুটতে থাকা এরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে এই টুর্নামেন্টের মিশন শুরু করেছিলেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালেও অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় চেক তারকাকে। কেননা, সেখানে যে তার সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। সব বাধা জয় করেই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন তিনি। শিরোপার লড়াইয়েও থামিয়ে দেন এ্যাশলে বার্টিকে। অস্ট্রেলিয়ার এই টেনিস তারকা গত কয়েক বছর ধরেই টেনিস কোর্টে নিয়ম করে আলো ছড়াচ্ছেন। গতবার তো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। শিরোপা জয়ের পথে জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারের কাছে থেমে যায় তার জয়রথ। এবারও ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মাখানো ছিল এ্যাশলে বার্টির। স্থানীয় সমর্থকরাও গলা ফাটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের জন্য। সিডনিতে এবার শুরু করেছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কোকে পরাজিত করে। এরপর বর্তমান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড় সিমোনা হ্যালেপকেও পরাজিত করেন তিনি। কিন্তু ফাইনালের বাধা এবারও অতিক্রম করতে ব্যর্থ হলেন এ্যাশলে বার্টি। তবে হারলেও প্রতিপক্ষ কেভিতোভার প্রশংসা পাচ্ছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ম্যাচের শেষে কেভিতোভা বলেন, ‘বার্টির বিপক্ষে খেলাটা খুবই কঠিন। আমি যেসব খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আগেও খেলেছি তাদের মধ্যে এ্যাশলে বার্টি একটু অন্যরকম। এবারও তার বিপক্ষে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আজও তার স্বপ্নটা পূরণ করতে পারল না। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টাই করেছে সে এবং সত্যিই অসাধারণ একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছে। এই খেলাটা যদি মৌসুমের পুরোটা সময়ই চালিয়ে যায় তাহলে নিশ্চিত সে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ জায়গা করে নেবে।’ সিডনির ফাইনালে প্রথম সেটেই অবশ্য হেরে যান কেভিতোভা। কিন্তু হাল ছাড়েননি দুইবারের উইম্বলডনজয়ী এই চেক তারকা। এ্যাশলে বার্টির বিপক্ষে প্রথম সেটে হেরে যাওয়ার পরও দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। এ ব্যাপারে কেভিতোভা বলেন, ‘প্রথম সেটে হেরে যাওয়ার পরও আমি ইতিবাচক ছিলাম কোর্টে। আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম, সেজন্য শুরুটা ধীর গতির হয়েছে। কিন্তু হাল ছাড়িনি কখনই।’ কাল থেকে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের আগে সিডনির এই শিরোপা নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে চেক তারকা পেত্রা কেভিতোভাকে।
×