ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল আইনের কপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে ॥ তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

ডিজিটাল আইনের কপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে ॥ তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট (নিরাপত্তা আইন) একটি সময়োপযোগী আইন। আমাদের এই আইনের কপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কাজ করছে। আইনটি যথাযথ বলেই তারা আইনটির কপি নিয়েছে। আইনটি করতে পেরে গর্ববোধ করছি। বাংলাদেশের মতো দেশে এ আইনটি প্রণয়ন করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে অডিটরিয়ামে ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-আমার কি প্রস্তুত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন। ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি ওসামা তাসীর, এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অরগানাইজেশন (অ্যাসোসিও) সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইজেনারেশনের পরিচালক মুশফিক আহমেদ। সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, দেশে ডিজিটাল আইন জরুরী ছিল। যে হারে সাইবার জগতকে অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল তাতে দেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো। আমরা সাইবার জগতকে নিরাপদ রেখে জনগণের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে চাই। দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া আমাদের অঙ্গীকার। দেশের প্রতিটি মানুষের হাতে ইন্টারনেট সুবিধা থাকলে দেশের উন্নয়ন কেউ রোধ করতে পারবে না। উন্নত দেশের কাতারে দেশ এখনই অবস্থান করছে। ভিশন ২০২১ সালের আগেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষমতা অর্জন করব। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে হবে। প্রতিটি মানুষকেও নিরাপদে রাখতে হবে। এ জন্য ডিজিটাল আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার যা খুশি তাই সামাজিক যোগাযোগাগের মাধ্যমে পোস্ট করা যাবে না। এতে সমাজের শান্তি বিনষ্ট হতে পরে। এই চিন্তা মাথায় রেখেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। প্রথম দিকে আইনটি নিয়ে দেশের বেশ কিছু মানুষ আমাকে গালাগাল করেছে। পরে আইনটির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে এখন তারাই আইনটির সুবিধা ভোগ করছেন।
×