ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি তরুণীকে আশ্রয় দেবে কানাডা ॥ ট্রুডো

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

সৌদি তরুণীকে আশ্রয় দেবে কানাডা ॥ ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, তার দেশ ১৮ বছর বয়সী সৌদি আশ্রয় প্রার্থীকে আশ্রয় দেবে। অতিমাত্রায় রক্ষণশীল পরিবারের নির্যাতন থেকে পালানো ওই সৌদি তরুণী টুইটারে তার হয়রানির কথা জানান এবং তিনি থাইল্যান্ড ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন। এএফপি। রাহাফ মোহাম্মদ মুতলাক আল-কুনুন শুক্রবার রাতে ইতোমধ্যে টরেন্টোর উদ্দেশে পাড়ি জমান। যে সময় প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে ঘোষণা দেন যে, তিনি রাহাফকে তার দেশে আশ্রয় দেবেন সে সময়ই কুনুন বিমানে ওঠেন। যদিও এর আগে কর্মকর্তারা জোর দিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়া যাবেন। ট্রুডো সাংবাদিকদের জানান, কানাডা বরাবরই দ্ব্যর্থহীনভাবে মানবাধিকার এবং বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার। জাতিসংঘ যখন আমাদের কাছে রাহাফ আল-কুনুনকে আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করেছে আমরা তাতে রাজি হয়েছি। এই পদক্ষেপের ফলে নিশ্চিতভাবে কানাডা ও সৌদি আরবের সম্পর্ক আবারও সঙ্কটে পড়ল। গত আগস্ট থেকে সম্পর্কটি খারাপ হতে থাকে। সে সময় অটোয়া সৌদি আরবের নারী অধিকার কর্মীদের আটক করার ঘটনার সমালোচনা করেছিল। এরই প্রেক্ষিতে রিয়াদ কানাডার দূতকে বহিষ্কার করে এবং সব ধরনের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সহযোগিতা স্থগিত করে। কানাডা অবশ্য রিয়াদের কারাগারে আটক অধিকার কর্মীদের মুক্তি দাবি করে। যাদের মধ্যে দ-প্রাপ্ত ব্লগার রাইফ বাদাউয়ির বোন সামার বাদাউয়িও রয়েছেন। তার পরিবার কুইবেকে বাস করেন। কুনুন অতিরক্ষণশীল দেশ থেকে পালিয়ে সৌদি আরবকে আবারও অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন। ইতোমধ্যে দেশটির ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ক্ষুব্ধ। গত সপ্তাহে কুয়েত থেকে ব্যাঙ্ককে যাওয়ার পরপরই তাকে থাই কর্তৃপক্ষ আটক করে। পরে তিনি দেশটি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। থাই কর্তৃপক্ষ তাকে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয় এবং তাকে কুয়েত ফেরত পাঠাতে চায়। এতে তিনি নিজের স্মার্টফোন ও টুইটার এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাই অভিবাসন পুলিশের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ ভেস্তে দেন। পুলিশ পরে তাকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার জিম্মায় হস্তান্তর করে। তাকে উদ্ধারে হ্যাশট্যাগসেভরাহাফ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের হাই কমিশনার ফর রেফুজিস ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, গত কয়েক দিন কুনুন বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ উদ্বাস্তুদের অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে এটি একটি ইতিবাচক আভাস। শরণার্থীদের রক্ষা করা আজ কঠিন এবং প্রায়ই এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
×