ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেতন নেই আট লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর

রেকর্ড ২২ দিনে গড়াল মার্কিন শাট ডাউন

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

রেকর্ড ২২ দিনে গড়াল মার্কিন শাট ডাউন

যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল সরকারের আংশিক শাট ডাউন শনিবার রেকর্ড ২২ দিনে গড়িয়েছে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ফলে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এর ফলে ফেডারেল সরকারের ৮ লাখ কর্মকর্তা কর্মচারী বেতন ছাড়া অবস্থায় রয়েছে। এএফপি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমান্তে দেয়াল তৈরির জন্য ৫.৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ চেয়েছিলেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ সেটি অনুমোদন করতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা যে বরাদ্দ প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প সেটি মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। ফলে সরকারের এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। শাট ডাউন অব্যাহত থাকায় এফবিআই এজেন্ট, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার থেকে শুরু করে মিউজিয়াম স্টাফ পর্যন্ত বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীরা শুক্রবার তাদের পূর্ব নির্ধারিত পে-চেক পাননি। শুক্রবার মধ্যরাতে এই শাট ডাউন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রেকর্ড তৈরি করেছে। এর আগে বিল ক্লিনটনের সময় ১৯৯৫-৯৬ সালে সর্বোচ্চ ২১ দিন শাট ডাউন হয়েছিল। ট্রাম্প ইতোপূর্বেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন যে, তার দাবি অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন করা না হলে তিনি জরুরী অবস্থা ঘোষণাসহ কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই বাজেট পাস করিয়ে নেয়ার মতো কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারেন। শুক্রবার সকালে তিনি তার আগে দেয়া হুমকিগুলো আবার পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাই না।’ তিনি আরও জানান যে, জরুরী অবস্থা ঘোষণা দিলে কংগ্রেস ওই বাজেট বরাদ্দ দিতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, ‘তারা বাজেট অনুমোদন না করলে আমি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করব। আমার তা করার পূর্ণ অধিকার আছে।’ বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি নেয়ার খুব কাছাকাছি ট্রাম্প পৌঁছে গেছেন, তিনি বারবার সে কথাই বলে যাচ্ছেন। ট্রাম্প শুক্রবার ওই বক্তব্য দেয়ার কয়েক মিনিট আগে তার ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম টুইটারে লেখেন, ‘মিঃ প্রেসিডেন্ট, এখনই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করুন।’ ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন কি না জানা যায়নি। বিরোধীরা বলছেন, সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের মতো একটি বিতর্কিত ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট যদি একতরফাভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেন তবে তা সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার হবে। পরবর্তীকালের জন্য এটি খারাপ একটি নজির তৈরি করবে।
×