ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পিছিয়ে যাচ্ছে ব্রেক্সিট

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

পিছিয়ে যাচ্ছে ব্রেক্সিট

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কমন্স সভায় পাস হলেও আর্টিকেল ৫০ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্যরা একথা বলেছেন। তবে ব্রেক্সিট পরিকল্পনাটি পার্লামেন্টে পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ হয়ে এসেছে। কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্যরা অনানুষ্ঠানিকভাবে একথা বলেছেন। তারা বলেছেন, মের পরিকল্পনাটি কোন রকমভাবে পার্লামেন্টে পাসও হয় তাহলেও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য পার্লামেন্টে যথেষ্ট সময় প্রয়োজন হবে। ইন্ডিপেন্ডেন্টকে একজন মন্ত্রী বলেছেন, মঙ্গলবার যদি মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা কমন্স সভায় পাস হয়ও তারপরও নো ডিল ব্রেক্সিট এড়াতে কয়েক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন হবে। ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কমন্স সভায় সেটি পাস হবে না। কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্যরা যাই বলুক প্রধানমন্ত্রীর দফতর অবশ্য আর্টিকেল ৫০ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটি সরকারের নীতি নয়’। মে সম্ভবত পার্লামেন্টে একটি ঐতিহাসিক পরাজয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তার বহুল আলোচিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ওপর ভোট গ্রহণ হবে। কেউ কেউ বলছেন ২শ’য়ের বেশি ভোটের ব্যবধানে এ পরিকল্পনাটি বাতিল হতে পারে। ডাউনিং স্ট্রিট যাই দাবি করুক ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিটের কাজ শেষ করা যাবে না বলেই মনে হয়। কারণ এই সময়ের মধ্যে মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা পার্লামেন্টে পাস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। পাস হলেও এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া পুরো করার জন্য অন্তত ছয়টি বিল পাস করতে হবে, যা এত অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব হবে না বলেই ধরে নেয়া যায়। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও অভিবাসনের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে বিলগুলো পাস করাতে হবে এজন্য যে ব্রেক্সিট হওয়ার পর দিন থেকেই বিষয়গুলোর আইনী কর্তৃত্ব যুক্তরাজ্যের হাতে থাকে। মন্ত্রিসভার একজন প্রথম সারির সদস্য বলছেন, আর্টিকেল ৫০ সম্প্রসারণের পর ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অবশ্যই পার্লামেন্টে পাস করিয়ে নিতে হবে। কাজেই ধরে নেয়া যায় যে মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট শেষ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ বেশি সময় নিলে মনে হয় না কেউ আপত্তি করবে।’ প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনগত আনুষ্ঠানিকতার কাজ শেষ হবে বলে সরকার আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে সপ্তাহান্তে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসবে তবে নির্ধারিত সময়সীমার পর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা সরকারের নীতি নয়। একজন সিনিয়র মন্ত্রী শুক্রবার ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় বিল পাসের জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে মের পরিকল্পনা পাস না হলে স্বাভাবিকভাবেই কাজ কিছুটা পিছিয়ে যাবে। এ অবস্থায় সময়সীমা অনুযায়ী ব্রেক্সিট হবে বলে ধারণা করা কঠিন। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পার্লামেন্টে মের পরিকল্পনা পাস না হলে ব্রেক্সিট আদৌ হবে কি না সেটি নিয়ে তার সংশয় আছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে রকম বলে থাকেন হয় তার পরিকল্পনা মেনে নিতে হবে অথবা নো ডিল ব্রেক্সিট হবে। এই দুটোর একটিকে বেছে নিতে হবে। হান্ট বলছেন, বিষয়টি এখন দুই বিকল্পের একটিতে সীমাবদ্ধ নেই। পরিকল্পনা পাস না হলে অনিশ্চয়তার কবলে পড়বে পুরো প্রক্রিয়া।
×