ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিল্পকলা একাডেমিতে আজ প্রাচ্যনাটের ‘কইন্যা’

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

শিল্পকলা একাডেমিতে আজ প্রাচ্যনাটের ‘কইন্যা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেশকিছু দিন বিরতির পর আবারও মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে- প্রাচ্যনাটের দর্শকনন্দিত নাটক ‘কইন্যা’। দলসূত্রে জানা গেছে- আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে নাটকটি প্রদর্শনী হবে। সিলেট-সুনামগঞ্জ হাওড়াঞ্চলের লৌকিকতা নিয়ে ‘কইন্যা’ নাটকটি রচনা করেছেন মুরাদ খান। নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। ‘কইন্যা’ নাটকটির বিভিন্ন চরিত্র রূপায়ন করছেন আজাদ আবুল কালাম, ঋতু সাত্তার, শাহানা রহমান সুমি, হীরা, শাহেদ আলী সুজন, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, তপন মজুমদার, হোসেন রেজভী, জাহাঙ্গীর আলম, জবা, রুবেল, সজীব, মিতুল, রাসেল, সোহেল প্রমুখ। মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনায়- মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সঙ্গীত পরিকল্পনায় রাহুল আনন্দ। ‘কইন্যা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে, কালারুকা নামের জনপদের মানুষ মনে করে কইন্যা পীর তাদের দেখে রাখেন। কইন্যা পীর এ কালারুকায় এসেছিলেন সেই কবে। গত হয়েছেন তাও যুগ যুগ আগে। তবুও এ বিশ্বাস বর্তমান। তার সঙ্গী বহুরূপীকে তিনি খালি বাড়ির পুকুরে মাছ রূপে রেখে যান। খালি বাড়িতে এখন থাকেন নাইওর ও দিলবর নামের দুই ভাই। জনপদের সবাই জানেন, বিপত্মীক নাইওরের ওপর কইন্যা পীরের ভর আছে। ইশকে মাতোয়ারা নাইওর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেন জলের বহুরূপীর সঙ্গে। যেন বহুরূপীর কাছে জানার দীক্ষা নেন। এ খালি বাড়িতে আশ্রিত মেছাব, নাইওরের ছোট ভাই দিলবরের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করে নিজ গ্রামের এক কইন্যার। যাকে সে নিজেই এক সময় বিয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। যার প্রতি এখনও তার আসক্তি রয়েছে। দুই গ্রামের বিচ্ছিন্নতার প্রতীক একটি খাল। যার নাম চেঙ্গের খাল। চেঙ্গের খালের পশ্চিমপাড়ের মৌলভী সাহেবজাদার ধর্মচিন্তা। পূর্বপাড়ের কালারুকার নাইওর আলীর ধর্মচিন্তা থেকে আলাদা। তিনি চান ওই পাড়ে কালারুকায় তার প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। এমন গল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে কইন্যা নাটকের কাহিনী।
×