ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নবম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

নবম শ্রেণির হিসাববিজ্ঞান

আজ থাকছে ‘প্রথম অধ্যায়- হিসাববিজ্ঞান পরিচিতির’ আলোচনা। প্রতিটি মানুষ তার ব্যক্তি জীবনে, কর্মজীবনে, সামাজিক জীবনে, ব্যবসায়িক জীবনে প্রতিনিয়ত নানাভাবে বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশের সঙ্গে জড়িত। আর এই হিসাব কীভাবে সঠিক ও যথাযথভাবে রাখা যায়, কীভাবে হিসাব রাখলে ব্যবসায়ের লাভ বা ক্ষতির পরিমাণ সহজে জানা যাবে, কীভাবে প্রতিষ্ঠানের সঠিক আর্থিক চিত্রটি পাওয়া যাবে সে সকল বিষয়ে হিসাববিজ্ঞান বইটি প্রয়োজনীয় ধারণা দিয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে যে ‘হিসাববিজ্ঞান’ শব্দটি পৃথক কোন শব্দ নয় । হিসাববিজ্ঞান একক শব্দ। অর্থাৎ হিসাববিজ্ঞান শব্দটি আলাদা না লিখে, লিখবে হিসাববিজ্ঞান। এসো আমরা জেনে নেই হিসাববিজ্ঞান কাকে বলে? সাধারণভাবে বলতে পারি, যে শাস্ত্র হতে জ্ঞান লাভ করে কোন প্রতিষ্ঠান তার আর্থিক (টাকার অংকে পরিমাপযোগ্য) লেনদেনগুলো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় লিপিবদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চিত্র সহজভাবে পেয়ে থাকে তাকে হিসাববিজ্ঞান বলে। আরও স্পষ্ট করে বলা যায় ‘হিসাববিজ্ঞান’ হলো এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত আর্থিক কার্যাবলি হিসাবের নির্দিষ্ট বইতে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধকরণ, শ্রেণীবদ্ধকরণ ও বিশ্লেষণ করে সঠিক আর্থিক অবস্থা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর নিকট তুলে ধরে। এবার এসো আমরা জেনে নেই হিসাববিজ্ঞানের উৎপত্তি কোথায় এবং কে করেছেন? মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতই হিসাববিজ্ঞান এর ইতিহাসও প্রাচীন। যে দিন হতে মানুষ গুহায় বা পাথরে দাগ কেটে হিসাব রাখতে শিখেছে, রশিতে গিট দিয়ে ফসল বা শিকারি জীবজন্তুর হিসাব করতে শিখেছে মূলত সেই দিন থেকেই হিসাববিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়। তবে ‘লুকাপ্যাসিওলি’ নামে একজন ইতালীয় গণিতবিদ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে তার রচিত ‘সুম্মা ডি এরিথমেটিকা জিওমেট্রিয়া প্রপোরশনিয়েট প্রপোরশনালিটা’ নামক গ্রন্থে হিসাববিজ্ঞানের মূলনীতি ‘দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি’ ব্যাখ্যা করেন। ‘লুকাপ্যাসিওলি’ কতৃক প্রদত্ত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে হিসাববিজ্ঞান বইটি রচিত হয়েছে বলে তাঁকে হিসাববিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এসো নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর এক কথায় জেনে নেই। ১। প্রাচীনকালে মানুষ কীভাবে হিসাব রাখত? উত্তর. গুহায় দাগ কেটে ২। কোথায় হিসাববিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়? উত্তর. ইতালিতে ৩। কিসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব? উত্তর. ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ৪। ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয় কাকে? উত্তর. হিসাববিজ্ঞানকে ৫। কোনগুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান? উত্তর. স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ক্লাব ৬। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি হলো হিসাব রক্ষণের উত্তর. ভিত্তি ৭। আধুনিক হিসাববিজ্ঞানের উৎপত্তি কোথায়? উত্তর. ইতালিতে ৮। হিসাববিজ্ঞানকে কী নামে অভিহিত করা হয়? উত্তর. তথ্যব্যবস্থা ৯। হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা কয়টি? উত্তর. ৯টি ১০। হিসাববিজ্ঞানের জন্ম কত খ্রিস্টাব্দে? উত্তর. ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে ১১. হিসাববিজ্ঞানের মূলনীতি হলো – উত্তর. দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি ১২। হিসাববিজ্ঞান তথ্যের ব্যবহারকারী কয় ধরনের? উত্তর. ২ ধরনের ১৩। হিসাববিজ্ঞান তথ্যের বাহ্যিক ব্যবহারকারি হলো- উত্তর. সরকার, কর্মচারী, পাওনাদার ১৪। ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসারের ফলে হিসাববিজ্ঞানের কোনটি বৃদ্ধি পায়? উত্তর. পরিধি ১৫। আর্থিক সচ্ছলতা হিসাববিজ্ঞানের একটি – উত্তর. প্রয়োজনীয়তা ১৬। হিসাববিজ্ঞানের যাত্রা কখন শুরু হয়? উত্তর. মানুষ যখন গুহায় বাস করে ১৭। গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ব্যবসায়ের কোন ধরনের দায়বদ্ধতা? উত্তর. সামাজিক দায়বদ্ধতা ১৮। নিজের কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়বদ্ধতাই হচ্ছে – উত্তর. জবাবদিহিতা ১৯। হিসাব তথ্যের বাহ্যিক ব্যবহারকারী হলো- উত্তর. বিনিয়োগকারী ২০। লুকাপ্যাসিওলি পেশায় ছিলেন একজন- উত্তর. গণিতবিদ
×