ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপেও অগ্রগতি নেই বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

   উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপেও অগ্রগতি নেই বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপের পরও অগ্রগতি নেই বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলার। তদন্তে ধীরগতির কারণে জামিনে বের হয়ে যাচ্ছেন আসামিরা। দুদক সচিব বলছেন, অপরাধের মূলে যাওয়ার কারণেই এ সময় লাগছে। দুদক আইনজীবী বলছেন, জামিন ঠেকাতে আইনী লড়াই করছেন তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়। আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। কিন্তু তিন বছরে একটি মামলারও তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুদক। এই সুযোগে জামিনে বের হয়ে যাচ্ছেন আসামিরা। তদন্তে গড়িমসির কারণে সর্বশেষ গত ১৮ মে ৫৬ মামলার ৬ তদন্ত কর্মকর্তাকে ডেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান উচ্চ আদালত। ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ও পার হয়েছে অনেক আগে। তবুও তদন্ত ঝুলে আছে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু এবং তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদকে আসামি করা না করা নিয়ে। দুদকের আইনজীবী বলছেন, তদন্তে ধীরগতির সুযোগে আসামিদের জামিনে বের হওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তারা। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আর্থিক অনিয়ম-অপরাধের অনেক নথি থাকে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। এ কারণে সময় লাগে। আমার মনে হয় তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে, বেশি দিন লাগবে না। আর দুদক সচিব জানান, অপরাধের গভীরে যাওয়ার কারণে তদন্ত শেষ হতে সময় লাগছে। ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন বলেন, এটি বড় অংকের দুর্নীতির মামলা আইনে যতটুকু সময় দেয়া আছে ততটুকু লাগছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এটির গভীরে গেছে তাই সময় লাগছে। ঋণ কেলেঙ্কারির মতো অপরাধের আসামিরা ছাড়া পেলে ব্যাংকিং খাত আরও অপরাধপ্রবণ হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। অর্থনীতিবিদ ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রক্রিয়াতে যদি দীর্ঘসূত্রতা থাকে তাহলে আরো বেশি অপরাধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ব্যাংকিং খাতে মানুষের আস্থা ফেরাতে ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
×