ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাসিনা বেগমই ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

 হাসিনা বেগমই ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগের সিদ্ধান্ত অনুসারেই রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে হাসিনা বেগমকে বহাল করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের কারণে সারাদেশে অধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ থাকায় অব্যাহতি দেয়া অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমকেই বৃহস্পতিবার বৈঠক করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে ভিকারুননিসার গবর্নিং বডি। একই সঙ্গে শিক্ষার স্বার্থে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে সহায়তা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও বোর্ডকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে স্থায়ী কোন অধ্যক্ষ ছাড়া ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে দেশের নামী এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সারাদেশের প্রতিষ্ঠানেই এ সঙ্কট হচ্ছে। তাই সকলেরই চাওয়া যেন একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়। আমরা চেয়েছিলাম সরকারী সকল আইন মেনে একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে। সে অনুসারে কার্যক্রমও চলেছে আমাদের। যেহেতু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগমও অধ্যক্ষ পদের জন্য একজন প্রার্থী ছিলেন তাই নিয়োগের স্বচ্ছতার জন্য আমরা তাকে অব্যাহতি দিয়ে আরেকজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম গবর্নিং বডির সভা করে। কেবল তাই নয়, আমরা ওই সভাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ অনুমোদন না করে তাহলে হাসিনা বেগমকেই স্বপদে ফিরিয়ে আনা হবে। বৃহস্পতিবারের সভায় আমরা আগের সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করেছি। বৈঠকের পর শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলেছেন, সম্প্রতি অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যার ঘটনার পর ছাত্রীদের আন্দোলনকে পুঁজি পরে বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা সুযোগ নিতে চেয়েছিল। তবে সভাপতি ও কয়েক সদস্যের কঠোর অবস্থানের কারণে বিশেষ ওই গোষ্ঠী ব্যর্থ হয়। ওই গোষ্ঠীটি গত কদিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে সঙ্কট বাধানোর পাঁয়তারা করছে। তারা এবারও গবর্নিং বডির বিরুদ্ধে মিথ্যা উস্কানিমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-অভিভাবকদের। জানা গেছে, এর আগে গত সপ্তাহে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড বলে দেয়, সরকারী আদেশ অনুসারে এখন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বন্ধ। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বৃহস্পতিবারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের পর এখন দেশের নামী এ প্রতিষ্ঠানটিতে চলা জটিলতার অবসান হবে বলে আশা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। জানা গেছে, গত ৯ ডিসেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ১ জানুয়ারি আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। নিয়োগ প্রত্যাশী ১৬ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছয়জন ও বাইরে থেকে ১০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। ফের দাখিল ও আলিম মাদ্রাসার তথ্য চেয়েছে বোর্ড ॥ ফের দাখিল ও আলিম মাদ্রাসার তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল ও আলিম মাদ্রাসার তথ্যসহ তালিকা পাঠাতেই এ তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বোর্ড থেকে দেশের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর সহকারী পরিদর্শকদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠানোর উদ্দেশ্যে দাখিল ও আলিম স্বরের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। গত ১০ অক্টোবর বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাঠানো হয়। কিন্তু আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো তথ্যে অসঙ্গতি ও অপূর্ণতা পরিলক্ষিত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। এরপরই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকদের আবারও দাখিল ও আলিম মাদ্রাসার তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দাখিল ও আলিম স্তরের মাদ্রাসার তথ্য উল্লেখ করে পৃথক পৃথক পূর্ণাঙ্গ তালিকা সর্বশেষ নবায়নের তারিখসহ বোর্ডে পাঠাবেন আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকরা। তথ্য ছকে দাখিল ও আলিম স্তরের মাদ্রাসার উপজেলা, জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া মাদ্রাসাটির অনুমতি প্রাপ্তি, স্বীকৃতি প্রাপ্তি, এমপিওভুক্তি বা ননএমপিওভুক্তির বিষয়ে মতামত ছকে তুলে সর্বশেষ নবায়নের তারিখ উল্লেখ করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকদের।
×