ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

উবাচ

ঝেঁটিয়ে বিদায় স্টাফ রিপোর্টার ॥ মন্ত্রীর পদ থেকে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরে যাওয়া ‘সৌভাগ্যের’ মন্তব্য করে বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, অবসর নিয়ে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার হাত থেকে তো রক্ষা পেয়েছি। সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের শেষ কর্মদিবসে বিদায়ী অনুষ্ঠানে হাস্যরসাত্মকভাবে একথা বলেন তিনি। গত ১০ বছরের সফল অর্থনীতি, এটি আমার জন্য খুব আনন্দের বিষয়, আমাকে বিদায়টিদায় করতে হয়নি। নিজ থেকেই বিদায়টা নিয়ে নিয়েছি। সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি ৮৫ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, এ বয়সে আল্লাহ আমাকে এমন রেখেছেন যে, আমি একটি জটিল দেশে জটিল একটি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছি। এখন তো আমার অবসর নেয়ার দরকারই। হাস্যকর! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ কখনও এই নির্বাচন মেনে নেয়নি। সেই নির্বাচনের ফলের ভিত্তিতে সংসদ গঠন বা সরকার গঠনÑএটা নিয়ে মন্তব্য করা তো হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কেউই এই নির্বাচনের পর বলেননি তারা নির্বাচন মানে না। কেবলমাত্র নির্বাচনে যেসব প্রার্থী হেরে গেছেন তারাই বলছেন, মানি না, মানা সম্ভব নয়। মির্জা ফখরুলও দুটি আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে একটি আসনে পরাজিত হয়েছেন। তাও আবার নিজের জন্মস্থানের মানুষ তাকে ভোট দেয়নি। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, বিএনপি মহাসচিব ঠাকুরগাঁও থেকে মোট চারবার নির্বাচন করেছেন। এর তিনবারই তিনি পরাজিত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যানে বোঝা যায়, মির্জা সাহেবের ঘরে জনপ্রিয়তার ঘাটতি রয়েছে। যাকে এলাকার লোকই ভালবাসতে কৃপণতা করে তিনি সারা দেশের মানুষের কাছে কেমন করে প্রিয় হবেন। তার কথায় লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবেন কিভাবে। নির্বাচনী রাজনীতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম ১৯৯১ সালে পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচন করে যথাক্রমে ৩৬ হাজার ৪০৬ ও ৫৮ হাজার ৩৬৯ ভোট পান এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে এখান থেকে তিনি মাত্র একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেনকে পরাজিত করেন। কিন্তু নবম সংসদ নির্বাচনে ২০০৮ সালে সেই রমেশ চন্দ্রের কাছেই তিনি হেরে যান। এত বড় দলের (নির্বাচনের আগ পর্যন্ত) মহাসচিব এবারও বুঝতে পেরেছিলেন ঠাকুরগাঁয়ে ধানের শীষে কাজ হবে না। শেষে তিনি বগুড়াতে এসে জয় পান। এর আগের নির্বাচনগুলোতে হেরে গিয়েও বিএনপি মহাসচিব নির্বাচন মেনে নিয়েছেন কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এবারই। এবার নির্বাচনে জয়লাভ করেও তিনি নির্বাচনকে মানতে পারছেন না। বিএনপি মহাসচিব সম্প্রতি নোয়াখালীতে আইনজীবীদের আয়োজিত এক সভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় বলেছেন, ‘ক্ষোভ হয় না? রাগ হয় না? উত্তেজনা হয় না?’ এই বক্তব্যের পরও কারো ক্ষোভ হয়নি, উত্তেজনাও জাগেনি। এর পর কি তিনি নিজে হাস্যকর হয়ে যাচ্ছেন না।
×