ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বেশ বড়সড় আয়োজন। প্রতি বছর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবার সপ্তদশ আসর। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। নয় দিনের উৎসব। ৭২ দেশের ২শ’ ১৮টি চলচ্চিত্র। হ্যাঁ, ছবি দেখার দারুণ সুযোগ। উৎসবের ভেন্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস মিলনায়তন ও যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমা। কোথায় কেমন ছবি কারা কিভাবে ছবি দেখতে পারবেন তার একটি নির্দেশনা দিয়েছেন আয়োজকরা। সে অনুযায়ী, জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে চলবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। শিশুদের সঙ্গে এখানে অভিভাবকরাও সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন। সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা দেখতে পারবে বিনামূল্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করলেই খুলে যাবে দ্বার। আর সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটমূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে দেখানো হবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এখানেও শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও বিনামূল্যে ছবি দেখতে পারবেন। সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শনী বিনামূল্যে দেখতে পারবে শিক্ষার্থীরা। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেস মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে উৎসবের সিনেমা। সবগুলো সিনেমা বিনা টিকেটে দেখা যাবে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার প্রদর্শনীগুলোও সবার জন্য উন্মুক্ত। যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমা হলে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রদর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো উপভোগ করতে পারবেন। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’- স্লোগানে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে উৎসব। আবারও বলি, এ সময়ের মধ্যে দারুণ সব ছবি দেখানো হবে। না দেখলে মিস! সময় করে কাছের কোন ভেন্যুতে গিয়ে ছবি দেখুন। উপভোগ করুন। শীতের কথায় আসা যাক। মাঘ আসি আসি করছে। আর মাঘের শীতে, সবাই জানেন, বাঘ পালায়। এবারও হয়ত পালাবে। কিন্তু কিছু মানুষ পালাতে পারেন না। পালিয়ে বাঁচারও সুযোগ পান না তারা। ঢাকার রাস্তায় রাত কাটান। কাটাতে হয়। খোলা আকাশের নিচে কী যে ঠান্ডা বাতাস! কনকনে শীত। এর মাঝেই ঘুমানোর চেষ্টা। জীবন যুদ্ধ। দেখে সত্যি মন খারাপ হয়ে যায়। গত কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট মাজারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এমন একটি দৃশ্য দেখে থেমে যেতে হলো। তখন প্রায় মধ্যরাত। কয়েকজন ক্লান্ত শ্রান্ত রিক্সা চালক নাক মুখ ঢেকে ঘুমাচ্ছেন। কেউ নিজের রিক্সায় গুটিশুটি হয়ে আছেন। কেউ রিক্সার ঠিক নিচে বিছানা পেতে নিয়েছেন। কেন? প্রশ্ন করে জানা গেল, রিক্সা চুরি হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। তাই ঘুম এবং রিক্সা পাহারা দেয়া- দু’টো কাজই করতে হচ্ছে! আহা, বাস্তবতা! ছিন্নমূল মানুষগুলোও কোন রকমে রাতটা কাটানোর চেষ্টা করছেন এখন। কিন্তু সামনে কী হবে? তাদের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে কেউ কি এগিয়ে আসবেন? তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। মাঘের শীত থেকে তবে কী করে বাঁচবে ওরা? অন্য প্রসঙ্গ। মোটরসাইকেলে চড়ে প্রথম দিন অফিস করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। হয়ত ভেবেছিলেন, সময় মতো অফিসে পৌঁছার এই চেষ্টা দেখে সাধারণ মানুষ বাহবা দেবেন। ‘বেশ বেশ’ করবেন। অনুমান করা যায়, এ কারণেই ফেসবুকে ছবি আপলোড করেছিলেন তিনি। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। প্রতিমন্ত্রী এদিন চমক দেখালেও, হেলমেট না পড়ে মোটরযান আইন ভঙ্গ করেন তিনি। আর যায় কোথায়? শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। অব্যাহত সমালোচনার মুখে পলক জানান, সেদিন খুব তাড়াহুড়ো ছিল। অগত্যা বাইকের সাহায্য নিয়েছেন। কিন্তু চালকের কাছে কোন বাড়তি হেলমেট ছিল না। তাই অনিচ্ছাকৃত ভুলটি হয়ে গেছে। কিন্তু সমালোচনা তবু থামে না। বরং নতুন মাত্রা নেয়। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরবাইকে আর উঠবেন না পলক। এ জন্য তিনি ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদের প্রতিমন্ত্রী পলকের ওই দুঃখ প্রকাশ করার কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এ্যাজ জেনারেল সেক্রেটারি অব পার্টি। হি এক্সপ্রেসড হিজ রিগ্রেট ফর ইট এবং সে বলেছে যে ‘ইটস এ মিসটেইক, আমি আর রিপিট করব না’। এর আশা করা হচ্ছে, আলোচনাটি এখানে শেষ হবে। হবে তো?
×