স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছয় পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার মিরপুর মডেল থানার পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক বজলার রহমান তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার রাতে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানোর সময় র্যাব সংবাদ পায় যে মিরপুর মডেল থানাধীন বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মেইন গেটের সামনে কিছুসংখ্যক লোক মাদক বিক্রি করেছে। র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে কবির হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। এরপর তার জিন্স প্যান্ট থেকে ছয়টি ইয়াবা জব্দ করে। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন র্যাব-৪ পুলিশ পরিদর্শক কবির উদ্দিন সরকার। পুলিশ হেফাজতে যাওয়ার পর কবির হোসেন জানায়, র্যাব হেফাজতে থাকাকালীন সময় শারীরিকভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হলে ছাড়পত্র নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে। মামলাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত অব্যাহত আছে।
এদিকে র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, র্যাব হেফাজত থেকে কোন আসামিকে থানায় সোপর্দ করার সময় বা থানা কোন আসামিকে র্যাব থেকে বুঝে নেয়ার সময় কিছু প্রক্রিয়া আছে সেটা ফলো করতে হয়। যেমন আসামির শরীরে কোন ধরনের নির্যাতনের চিহ্ন বা অসুস্থ কিনা সেটার প্রমাণাদি ছাড়া আসামি গ্রহণ করা হয় না। এক্ষেত্রে এই আসামির বেলায় এ ধরনের কোন প্রমাণ আছে কি না সেটাসহই অভিযোগ করতে হয়। হাজতে গিয়েও তো একটা আসামি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে- কিংবা সে মিথ্যা অভিযোগও করতে পারে। কারণ যেই লোকটা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় ইয়াবা রাখতে পারে, সে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: