ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গৌরবময় পুরস্কার জিতে আমি গর্বিত

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

গৌরবময় পুরস্কার জিতে আমি গর্বিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনুমিতই ছিল বিষয়টা। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়েছে। টানা দ্বিতীয়বার আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতেছেন ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। মঙ্গলবার রাতে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে জমকালো অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ২৬ বছর বয়সী সালাহর নাম ঘোষণা করে আফ্রিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএএফ। মিসরীয় তারকার হাতে বর্ষসেরার পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ফুটবল সুপারস্টার জর্জ উইয়াহ। এই পুরস্কারের দৌড়ে সালাহ পেছনে ফেলেন ক্লাব সতীর্থ সেনেগালের সাদিও মানে ও আর্সেনালের গ্যাবন স্ট্রাইকার পিয়েরি-এমরিক অবামেয়াংকে। ৫৬ সদস্যের আফ্রিকান সংস্থার ভোটে এই দু’জনকে হারিয়েই গত বছরও গৌরবময় পুরস্কার জিতেছিলেন লিভারপুল তারকা। এ নিয়ে তৃতীয়বার মিসরীয় কোন ফুটবলার এই সম্মানজনক পুরস্কার জিতলেন। সালাহ’র দুইবারের সঙ্গে ১৯৮৩তে প্রথম জিতেছিলেন মাহমুদ আল খাতিব। এবারের পুরস্কারের তালিকায় বর্ষসেরা আফ্রিকান কোচ মনোনীত হয়েছেন মরক্কো জাতীয় দলের কোচ হার্ভি রেনার্ড। নারীদের বিভাগে বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও কোচ হয়েছেন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রেসটিনা কাগাতলানা ও ডিসায়রি এলিস। মিসরকে রাশিয়া বিশ্বকাপে নেয়া সালাহ গত মৌসুমে লিভারপুলকেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে তুলতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লীগে রেকর্ড ৩২টি গোল করেছিলেন ‘মিসরীয় মেসি’। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ৪৪ গোল। চলতি মৌসুমেও ভাল সময় যাচ্ছে সালাহর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে তার দল লিভারপুল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। তিনি নিজেও চলমান মৌসুমে ইতোমধ্যে ১৩ গোল করেছেন। অন্যদিকে অবামেয়াং সালাহ’র থেকে লীগে এক গোল বেশি করে টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা হ্যারি কেনের সঙ্গে ১৪ গোল নিয়ে লীগে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন ধরে রেখেছেন। ২০১০ সালে কায়রোভিত্তিক ক্লাব এল মোকাওলুন দিয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা সালাহ ২০১২ সালে সুইজার‌্যান্ডের ক্লাব বাসেলে যোগ দেন। দুই বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে চেলসিতে যোগ দিলেও পরের বছরই ধারে ইতালিয়ান ফিওরেনটিনা ও রোমায় খেলতে যান। ২০১৭ সালে রোমা থেকে লিভারপুরে যোগ দিয়ে নিজের যোগ্যতার শতভাগ প্রমাণ দেন। পুরস্কারের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহ বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই পুরস্কার জয়ের স্বপ্ন দেখতাম। আর এখন পরপর দুইবার আমি এটা গ্রহণ করছি। এ জন্য আমি পরিবার, সতীর্থ, ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি এই শিরোপা আমার দেশ মিসরকে উৎসর্গ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমি খুব খুশি। এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এখন আমার চ্যালেঞ্জ ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। আশা করছি সফল হব। এদিকে ডাকারে অনুষ্ঠিত সিএএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬-১ ভোটে হারিয়ে ২০১৯ আফ্রিকান নেশন্স কাপ আয়োজনের স্বত্ব লাভ করে মিসর। প্রাথমিকভাবে ক্যামেরুন এই দায়িত্ব পেলেও প্রস্তুতিতে বিলম্ব ও নিরাপত্তাজনিত কারণে মধ্য আফ্রিকার দেশটি থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে ক্যামেরুনে অনুষ্ঠিত হবে আফ্রিকান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর। যদিও ১৫ ভোটের ব্যবধানে মিসরের জয়টা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
×