ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর ট্রাস্ট ইন্স্যুরেন্স

টাকা ফেরত পায়নি কেলেঙ্কারির শিকার ছাত্ররা

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

টাকা ফেরত পায়নি কেলেঙ্কারির শিকার ছাত্ররা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চাকরির নামে যশোরে অবস্থান করা শত শত কলেজ ছাত্রের কাছ থেকে অর্থ হাতানো ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতারকরা এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরছে। থানার পর তদন্তভার সিআইডিতে গেলেও ভুক্তভোগীরা এখনও একটি টাকাও ফেরত পাননি। যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে আস্তানা গেড়ে থাকা প্রতিষ্ঠানের খুলনা জোনের এমডি হাদিউজ্জামান, যশোর শাখার নির্বাহী সহসভাপতি রাশেদুজ্জামান, ইভিপি টুটুলসহ আরও কয়েকজনের শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী বেকার ছাত্ররা। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে যশোর জেল রোডে একটি অভিজাত ভবনে অফিস ভাড়া করে চাকচিক্যময় করে সাজিয়ে নিয়োগ প্রতারণা শুরু করে ট্রাস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরিচালনা বোর্ডের নেতা নামধারী অসাধুরা মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় স্থানীয় পত্রিকায়। মেডিক্যাল প্রমোটর, ফিল্ড অফিসার, অফিস স্টাফ, সিনিয়র অফিসারসহ নানাপদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে বেশুমার অর্থ হাতানো শুরু করে প্রতারকরা। পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেখে যশোর শহর, শহরতলী ও পাশের কয়েকটি জেলার যুবক ও বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া অনেক ছাত্রছাত্রী তাদের টাকা তুলে দেন চাকরির আশায়। জামানতের নামে মাথাপ্রতি হাতিয়ে নেয়া হয় ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অর্থ হাতিয়ে খুলনা বিভাগীয় এমডি নামধারী হাদিউজ্জামান ও সহ সভাপতি নামধারী রাশেদুজ্জামান চক্র শুরুতেই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। চক্রটি বেতন না দিয়ে তালবাহানা করায় জামানতের টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় হঠাৎ প্রতারক চক্র জানায়, টাকা হবে না, ওই টাকার ইন্স্যুরেন্স করেছ তোমরা। আর বেতন নিতে হলে গ্রাহক তৈরি কর, নইলে কেটে পড়ো। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার লোকজন ২০১৬ সালের ৩ নবেম্বর অফিস ঘেরাও করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যান এমডি হাদিউজ্জামান, সহ সভাপতি রাশেদুজ্জামান টুটুলসহ আরও কয়েকজন। আর তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয় ওই অফিসে। থানায় খবর গেলে আটক হয় হিসাবরক্ষণ অফিসার হারুন অর রশিদ ও কম্পিউটার অপারেটর সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর থানায় এজাহার দেয়া হয়। ভুক্তভোগীদের মধ্যে যশোরের বুনাগাতীর মহিতোষের মেয়ে প্রিয়া, অভয়নগরের প্রেমবাগের সেলিনা, সুমন কবির, রায়হান, বিপ্লব, তপন, আজিজুর রহমান, সুরাইয়া, নিলিমা, মাগুরার সীমাখালী এলাকার কাজল, যশোরের অসিম, জামান, শামসুন্নাহার, শোভন, রুকসানা, জামান, শ্যামল, সোনিয়া, আকরাম, শাহিদা বেগম, শাহিদুর, হযরত মঞ্জুয়ারা, খাদিজা, নাসরিন, নুসরাত, নার্গিস, প্রশান্ত কুমার, তাহমিনা, বিলকিস খাতুন, হোসনে আরা পুতুল, অভিজিৎসহ আরও কয়েকজন তাদের দুর্দশার কথা ও প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তারা অভিযোগ করেন প্রতারক চক্রের মূল হোতারা এখনও প্রকাশ্যে। তারা আটক হয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি।
×