অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজস্ব আয় বাড়ানো, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে গতি আনা, বড় প্রকল্প সময় মতো শেষ করা এবং প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাসহ বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে নতুন অর্থমন্ত্রীর সামনে।
তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সঠিক নীতি কৌশল গ্রহণের তাগিদ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। কেউ কেউ মনে করেন, সমস্যা এবং চাহিদাগুলো চিহ্নিত। এখন জোর দেয়া দরকার দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে গুণগত বাস্তবায়নে।
গত এক দশক ধরে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে নতুন ইতিহাস। বাস্তবায়নের পথে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার দশটি মেগাপ্রকল্প। যা সময় মতো শেষ হলে নতুন গতি আসবে প্রবৃদ্ধিতে। এছাড়া শিল্প, কৃষি কিংবা রফতানি-রেমিটেন্সের মতো খাতেও সুবাতাস দীর্ঘদিন ধরে।
এমন বাস্তবতায় ২০১৯ সালের প্রথম সপ্তাহে নতুন মন্ত্রিসভা পেল বাংলাদেশ। যারা অর্থনীতির এই গতিকে আরও বাড়াতে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে থাকবে নানান সংস্কার পদক্ষেপ।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, অর্থনীতি নিজস্ব গতিতে এগুলেও তৈরি হয়েছে বেশ কিছু দুর্বলতা। যা দীর্ঘদিন ধরেই চিহ্নিত। ফলে, নতুন করে সমস্যা না খুঁজে উদ্যোগ নিতে হবে দ্রুত সমাধানের।
দশ বছর ধরে সাড়ে ছয় শতাংশের ওপরে গড় প্রবৃদ্ধি হলেও, সমালোচনা রয়েছে সুষম বণ্টন নিয়ে। এছাড়া, সামনের দিনগুলোতে আরও অন্তত পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে সরকারের সামনে।
তা হলো রাজস্ব আয় বাড়ানো, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ইত্যাদি। তাই মন্ত্রীদের দায়িত্ব হবে, সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ করা- এই পরামর্শ সিপিডির এই বিশেষ ফেলোর।
এরই মধ্যে পার হয়ে গেছে চলতি অর্থবছরের অর্ধেক সময়। যেখানেও বরাবরের মতো পিছিয়ে এডিপির বাস্তবায়ন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: