ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামী মাসে প্রাইমারী স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা

১৩ হাজার পদের জন্য ২৪ লাখের বেশি আবেদন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

১৩ হাজার পদের জন্য ২৪ লাখের বেশি আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে পরীক্ষায় অংশ নিতে ১৩ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হিসাবরক্ষক’ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ জন্য সকল সরকারী প্রাথমিকে এ পদটি সৃষ্টি করা হবে। সারাদেশের ৬৫ হাজার ৯৯টি বিদ্যালয়ে হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগে উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারাদেশ থেকে ১৩ হাজার ১০০টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছিল। এতে আবেদন জমা পড়েছে ২৪ লাখের বেশি। এই বিপুল পরিমাণ আবেদন জমা পড়ার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে আমাদের অনেক ভাবতে হচ্ছে। সোহেল আহমেদ বলেন, পরীক্ষার আয়োজনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে ফেব্রুয়ারিতে এই পরীক্ষা নেয়া শুরু হবে। বিপুল পরিমাণ আবেদনকারীর পরীক্ষা একদিনে নেয়া সম্ভব নয়। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতি শুক্রবার এ পরীক্ষা নিতে মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সঙ্কেত পেলে পরীক্ষা শুরু করা হবে। জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মনজুর বলেছেন, বর্তমানে এই মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী আসছেন, তার অনুমোদন নিতে হবে। নতুন মন্ত্রী অনুমোদন দিলে ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে কোন বাধা থাকবে না। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত সভা বসার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। লিখিত পরীক্ষার পর নতুন করে আরও ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এদিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘হিসাবরক্ষক’ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য সকল সরকারী প্রাথমিকে এ পদটি সৃষ্টি করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, হিসাবরক্ষকের পদ সৃষ্টির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং বিদ্যালয়ে পাঠদান ও তদারকি আরও সক্রিয় করতে বিদ্যালয়ে একজন হিসাবরক্ষক প্রয়োজন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৯৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে নতুন জাতীয়করণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৬ হাজার ১৫৯ টি এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয় ৬১টি। এসব স্কুলে একজন করে ‘হিসাবরক্ষক’ নিয়োগ দেয়া হবে। এ হিসাবে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৯৯‘ হিসাবরক্ষক’ নিয়োগ পাবেন।
×