স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে শ্রমিকের ন্যায্য দাবিকে ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দেশ শাসন করাটাই এখন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন রাজধানীর সাভার, উত্তরা ও মিরপুরে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে গুলিতে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফখরুল বলেন, যে শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি তাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়ার প্রতি তাচ্ছিল্য ও অবহেলাই নয়, এখন তাদের ন্যায্য দাবিকে দমাতে নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। সরকার জনবিচ্ছিন্ন বলেই শ্রমিকের ন্যায্য দাবিকে ভয়ের চোখে দেখছে। তিনি বলেন, দেশে দুঃশাসনের প্রকোপ ক্রমশ বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। সর্বব্যাপী নিপীড়নের যে ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে জনজীবন নিরাপদ ও নির্বিঘœ থাকাটা কঠিন হয়ে উঠছে। এই অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। জনগণের ঐক্যই আমাদের একমাত্র ভরসা। এই ঐক্যের ওপর ভর করেই আমরা গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করব। আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে নিহত শ্রমিক সুমনের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি ।
খালেদার সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছেÑরিজভী ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার নিকটাত্মীয়রা দেখা করার অনুমতি পায়। তারা জানিয়েছেন, এখনও খালেদা জিয়া অসুস্থ। সম্পূর্ণ চিকিৎসা শেষ না হতেই তাকে বিএসএমএমইউ থেকে কয়েকদিন পরই কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। তার প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে সরকার। এভাবেই মানসিক নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে সরকার। খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করে প্রতিহিংসা যেন শেষ হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন বার বার বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। যে মামলায় ইতোপূর্বে অনেকেই জামিন পেয়েছেন, অথচ সেই মামলাতেই আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে। কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় বার বার তারিখ পিছিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আদালতে ন্যায়বিচার পেলে কুমিল্লায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় বিচারিক আদালতেই খালেদা জিয়া জামিন পেতেন। কিন্তু আদালত জামিনও দিচ্ছে না আবার জামিন নামঞ্জুরও করছে না। ফলে খালেদা জিয়াকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পথও রুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে।