ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে তুষারধস ও শৈত্যপ্রবাহে ১৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

ইউরোপে তুষারধস ও শৈত্যপ্রবাহে ১৩ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভারি তুষারপাত আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপের জীবন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, অন্তত ১৩ জন পরিস্থিতির শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তুষারপাতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অচলতা সৃষ্টি হয়েছে। -দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তুষারধসে নিখোঁজ হওয়া ২৯ বছর বয়সী এক সুইডিশ নারী ও ফিনল্যান্ডের ২৯, ৩২ ও ৩৬ বছর বয়সী তিন পুরুষকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গত সপ্তাহে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ট্রোমসোতে ৯৯০ ফুট একটি তুষারধসের কারণে নিখোঁজ হন তারা। এছাড়া সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও জার্মানিতে তুষারধসেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তীব্র তুষারপাতে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েছেন শত শত মানুষ। বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারি তুষারপাত ও তীব্র বাতাসের কারণে ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। তুষারধসের কারণে আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুষারপাতের কারণে নরওয়েতে স্থগিত করা হয়েছে চার স্কি খেলোয়াড়ের মরদেহের তল্লাশি অভিযান। অস্ট্রিয়াতে রাস্তা বন্ধ হয়ে ঘরে আটকা পড়েছে শত শত বাসিন্দা। তীব্র তুষারপাতের কারণে গাছ বিদ্যুত লাইনের ওপরে পড়ায় বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি অঞ্চল। দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে কয়েকটি অঞ্চলের স্কুল। কয়েকটি ভবন ধসে যাওয়ার পর বাড়ির মালিকদের ছাদ থেকে তুষার সরানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে অস্ট্রিয়ার সম্প্রচার মাধ্যম ওআরএফ জানিয়েছে, তুরাক শহরে এক ৭৮ বছর বয়সী বাড়ির ছাদ থেকে তুষার সরানোর সময়ে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে। এদিকে সোমবার রাতে স্যালসবার্গে আটকা পড়া জার্মানির ১১ জন হাইকারকে উদ্ধার করেছে পর্বতারোহীরা। বিদ্যুতহীন হয়ে সামান্য খাবার নিয়ে শুক্রবার রাত থেকে সেখানকার একটি কেবিনে আটকা ছিলেন তারা। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের ব্যস্ততম স্কিপোল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হতে পারে সতর্ক করে দেয়। ডেনমার্কের বিমানসংস্থা কেএলএম ইউরোপীয় গন্তব্যের ১৫৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। গ্রীসের রাজধানী এথেন্সসহ পার্শ¦বর্তী এলাকার কয়েকটি স্কুল বন্ধ রয়েছে। কয়েকটি এলাকার তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে কমছে। প্রত্যন্ত কয়েকটি পার্বত্য রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উত্তর গ্রীসের তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রীর নিচে নেমে যাওয়ার জীবনযাপন পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন শরণার্থী তাঁবুতে বসবাস করছেন।
×