ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা সদস্যদের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা সদস্যদের শ্রদ্ধা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ৯ জানুয়ারি ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর নবনির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বাবার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বেদির সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে অনার গার্ড প্রদান করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী কাছে ডেকে নেন ছোট বোন শেখ রেহানাকে এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার শান্তি ও দেশের সাফল্য কামনায় ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন। এতে অন্যদের মধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শেখ হেলালউদ্দিন এমপি, মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি ও শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক উর্ধতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা প্রবেশ করেন বঙ্গবন্ধু ভবনে। সেখানে বসে তাঁরা মাজার কমপ্লেক্স মসজিদে আয়োজিত মিলাদ-মাহ্ফিলে অংশ নেন। এদিকে, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচীতে অংশ নিতে এদিন ভোরে নবনির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যগণ ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা হন টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা এনা পরিবহনের তিনটি লাক্সারি কোচে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়ে পৌঁছেন বেলা সোয়া ১টার দিকে। পরে জোহরের নামাজ শেষে বেলা ১টা ৪২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নতুন মন্ত্রিসভা সদস্যদের নিয়ে আবারও জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী ডাঃ আবদুল মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ী নেতা টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন, পার্বত্য-চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলি-যোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহম্মদ আব্দুল্লাহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে মধ্যাহ্ন বিরতির জন্য বঙ্গবন্ধু মাজার কমপ্লেক্স থেকে শেখ হাসিনা চলে যান মাজার-সংলগ্ন তাঁর নিজ বাসভবনে। সেখান থেকে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে একই পথে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
×