ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় ম্যাচেও হার খুলনা টাইটানসের

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ৮ জানুয়ারি ২০১৯

দ্বিতীয় ম্যাচেও হার খুলনা টাইটানসের

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিপিএলে আগের ম্যাচে জয়ের কাছে চলে গিয়েছিলো খুলনা টাইটানস। ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে না পারায় হার ছিলো সঙ্গী। পরের ম্যাচে ব্যাটিংটা হলো আরও বিবর্ণ। আসা যাওয়ার মিছিলে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে খুলনা। ঢাকার ছুড়ে দেওয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্রুত উইকেট পড়লেও পাওয়ার প্লের ফায়দা নিতে পারে খুলনা টাইটানস। তাই স্কোর বোর্ডে পর্যাপ্ত রান থাকলেও এক জুনায়েদ ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান আগ্রাসী রূপ দেখাতে পারেননি। আসা যাওয়ার মিছিলে ১৩ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় ৮৭ রানে। খুলনার শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিলো না গত ম্যাচের মতো। বল হাতে সফলতা দেখালেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার পল স্টার্লিং। মাত্র ১ রানে ঢাকা অধিনায়ক সাকিবের ঘূর্ণিতে রাসেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। জুনায়েদ সিদ্দিক হাত খুলে খেলতে থাকেন অপর প্রান্তে। তাতে শুরুর বিপদ সামাল দেওয়া গেছে স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করতে পেরে। অপর প্রান্তে থিতু হননি উইকেটকিপার জহুরুল ইসলাম। নারিনের ঘূর্ণিতে রুবেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ১ রানে। পরের ওভারে জুনায়েদকে বিদায় দেন সাকিব। তার ঘূর্ণিতে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন মিজানুর রহমানের হাতে। দ্রুত উইকেট পতনে চাপে পড়ে যাওয়া খুলনার বিপদ আরও বেড়ে যায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে। শুভাগতের স্পিনে পুল করেছিলেন ডিপ মিড উইকেটে। ক্যাচ লুফে নেন পোলার্ড। এমন আসা যাওয়ার মিছিল ছিলো অধিনায়কের বিদায়ের পরেও। সঙ্গে যোগ হয় রান আউট। শেষ ব্যাটসম্যান আলী খান ইনজুরিতে থাকায় ৮৭ রানেই শেষ হয় মাহমুদউল্লাহদের ইনিংস। ঢাকার হয়ে ১৮ রানে তিনটি উইকেট নেন সাকিব। দুটি নেন সুনিল নারিন। একটি করে নেন শুভাগত ও মোহর শেখ। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হেরে বিশাল সংগ্রহ গড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। তাদের সংগ্রহ ছিলো ৬ উইকেটে ১৯২ রান। টস হারার পর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জাজাইয়ের ঝড়ো ইনিংস ভিত্তি গড়ে দেয় ঢাকার। খুলনার শেষ দিকে পাল্টা আঘাত হানলেও রানের চাকা আটকাতে পারেনি। উল্টো কিছু ক্যাচ মিসের ঘটনা ভোগান্তি বাড়ায় তাদের। জাজাইয়ের ৩৬ বলে করা ৫৭ রানই ছিলো সর্বোচ্চ। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইজ ও পল স্টার্লিং। একটি করে নেন আলি খান ও মাহমুদউল্লাহ।
×